কলকাতায় বসেই যে তাঁকে এমন চরম দুঃসংবাদটা শুনতে হবে, কে জানত!
ফুটবলের শহরে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে। কিন্তু সেলাঙ্গর-এর তারকা ডিফেন্ডার রামিজ দায়ুবের পা থেকেই ফুটবল হারিয়ে গেল। চিরতরে।
ম্যাচ গড়াপেটা করে লেবাননের দায়ুব আজীবন নির্বাসিত। মঙ্গলবার এই খবর যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন কলকাতায় গভীর রাত। লেবাননের লিগে গড়াপেটার দায়ে এ দিন চব্বিশ জনকে নির্বাসনে পাঠাল লেবানন ফুটবল ফেডারেশন। দু’জন শুধু আজীবন নির্বাসিত। এই দুইয়ের এক দায়ুব।
এবং এই খবরের পিছু-পিছু আসছে পরবর্তী প্রশ্নটা। দায়ুব কি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামছেন? লেবাননের ফুটবল ফেডারেশনের আজীবন নির্বাসন-দণ্ড কি তাঁর ক্লাব জীবনেও বহাল থাকবে?
গভীর রাত পর্যন্ত কোনও উত্তর নেই। দুপুর পর্যন্ত দায়ুবের মধ্যে টেনশনের কোনও ছিটেফোঁটা দেখা যায়নি। বরং যুবভারতীতে প্র্যাকটিস সেরে বেরনোর সময় বলে দেন, “আমি বুধবার নামছি। আর নামছি জিততে।” কলকাতার সঙ্গেও তাঁর একটা যোগাযোগ আছে। ২০০৯ সালে সুভাষ ভৌমিকের জমানায় দায়ুবের ইস্টবেঙ্গলে খেলা প্রায় নিশ্চিত হয়েও আটকে যায় ট্রান্সফার সংক্রান্ত ঝামেলায়। এ বারও কলকাতায় পা দিয়েই বলেছিলেন, “কলকাতায় আবার ফিরতে চাই।” |
দুই অধিনায়ক। সঞ্জু প্রধানের সঙ্গে আসরারউদ্দিন। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
আর ফেরা! যদিও দায়ুব নামতে না পারলে তাতে লাভ ইস্টবেঙ্গলেরই। এমনিতে বুধবারের এএফসি কাপ ম্যাচে সেলাঙ্গর-এর বিষাক্ত সব ক্রস আটকাতে মর্গ্যান দুই স্টপার রাখছেন রাজু এবং ওপারাকে। মাঝে মেহতাব। ক্রস তোলা আটকাতে রাইট ব্যাকে হরমনজিৎ খাবরা এবং লেফট ব্যাক সৌমিক দে। আক্রমণে চিডির সঙ্গে বরিসিচ। ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যান স্পষ্ট বলে দিলেন, “প্রতিপক্ষ অচেনা। মিনিট কুড়ি দেখে তারপর আক্রমণে যাব পরিস্থিতি বুঝে।”
|
বুধবারে এএফসি কাপ
ইস্টবেঙ্গল: সেলেঙ্গার, মালয়েশিয়া (যুবভারতী, ৩-০০)। |