ভারত অধিনায়কের সেই যা ছোঁয় তা-ই সোনা করে তোলার হাত আবার ফিরে এসেছে! আর এমন সময় ফিরে এল যখন ওর কিছু স্পেশ্যাল করে দেখানোর দরকার ছিল।
গত দেড় বছর টেস্ট ক্রিকেটে ধোনির দলের সময়টা সত্যিই খুব খারাপ গিয়েছে। ধোনির ইনিংসটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেটা ম্যাচের প্রচণ্ড তাৎপর্যপূর্ণ সন্ধিক্ষণে খেলা। ভারতের সমর্থকেরা নিশ্চয়ই ম্যাচ জেতানো ইনিংসটা নিয়ে উল্লসিত হবেন। যেটাকে ধোনির ক্রিকেটজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংসও বলা যেতে পারে। ধোনি অবশ্য এই প্রথম কঠিন সময় ম্যাচকে সম্পূর্ণ ভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংস খেলল তা নয়। বরং ওর এই গুণটাই ওকে স্পেশ্যাল করে তুলেছে।
যে কোনও ডাবল সেঞ্চুরিই বিপক্ষকে বেঁকিয়ে দেয়। কিন্তু ধোনি যে ভঙ্গিতে রান তুলেছে তাতে অস্ট্রেলীয়রা পুরো চুরমার হয়ে গিয়েছে। ও যখন ব্যাট করতে এসেছিল, ম্যাচটা প্রায় সমান সমান যাচ্ছিল। বরং অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ‘লিড’ নিয়ে ফেললে ভারত সমস্যায় পড়তে পারত। কিন্তু ধোনি আর বিরাট কোহলির পার্টনারশিপ ম্যাচটাকে অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে কেড়ে নেয়। আর তার পরে ধোনির স্ট্রোক প্লে ম্যাচের একটাই সম্ভাব্য ফল তৈরি করে দেয়ভারতের জয়। ধোনি বিশেষ করে নির্দয় ছিল লিয়ঁর ওপর। আর যে রকম ওকে ঠেঙিয়েছে তাতে ওই স্পিনারের ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিল।
|
বেশির ভাগ সুখবর ভারতীয় ড্রেসিংরুম থেকেই বেরিয়ে আসছে। কোহলি ফের নিজেকে একজন দুর্দান্ত টেস্ট ব্যাটসম্যান প্রমাণ করল। ওর খেলায় বরাবরই টেকনিক ছিল। সেই সঙ্গে এখন এটাও পরিষ্কার যে, ব্যাট হাতে দীর্ঘ যুদ্ধের ক্ষমতার উন্নতি ওর মধ্যে ঘটছে। যে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের জন্য টেস্ট ক্রিকেট এত স্পেশ্যাল। চিপকে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল যখন সচিন তেন্ডুলকর ভারতের প্রথম ইনিংসে দু’উইকেটে ১২ রানে ব্যাট করতে আসে। প্রথম চার বলে ওর তিনটে বাউন্ডারির মধ্যে ঘোষিত ছিল যে, সচিন স্বাধীন ভাবে নিজের খেলা খেলবে। এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ও শুধু ক্লাস বোলারই নয়, লোয়ার অর্ডারে ভাল ব্যাটও। সব সময় কিছু করে দেখাতে চায়। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের অফস্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতাকে দারুণ কাজে লাগিয়েছে। ২০০১-এ হরভজন সিংহ কী করেছিল মনে আছে তো!
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত ১-০ এগিয়েও সিরিজ হেরেছিল। কিন্তু ওরা একই ভুল দ্বিতীয় বার করার মেজাজে মনে হচ্ছে নেই। |