|
|
|
|
হস্তশিল্পীদের পরিচয়পত্র বিলির উদ্যোগ, সঙ্গে ঋণও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের হস্তশিল্পীদের পরিচয়পত্র বিলি করতে চলেছে জেলা শিল্প কেন্দ্র। সঙ্গে স্বাস্থ্য বিমাপত্র এবং ঋণপত্রও বিতরণ করা হবে। এই উপলক্ষে আজ, বুধবার মেদিনীপুরে এক শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রহ্লাদ হাজরার বক্তব্য, “সরকার প্রতিটি শিল্পীকেই পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই প্রক্রিয়া এগোচ্ছে।”
শিল্প কেন্দ্র সূত্রে খবর, বুধবার সবমিলিয়ে ২৭০ জন শিল্পীর হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে। ঋণপত্র পাবেন ৮০ জন। স্বাস্থ্য বিমাপত্র তুলে দেওয়া হবে ৫০ জন শিল্পীর হাতে। সঙ্গে রয়েছে পাশবই এবং তাঁত বিতরণ কর্মসূচীও। রাজ্য সরকার বড় শিল্পের থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের উপরই বেশি জোর দিচ্ছে। ক্ষুদ্র শিল্পে যাঁরা উদ্যোগী, তাঁদের ঋণের জন্য সরকারি প্রকল্পও রয়েছে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প বা কর্মসৃজন প্রকল্প। তিনটি কেন্দ্রের মাধ্যমে উদ্যোগী যুবক- যুবতীদের এই প্রকল্পে ঋণ দেওয়া হয়। জেলা শিল্প কেন্দ্র, খাদি বোর্ড এবং খাদি কমিশন। বুধবারও এই প্রকল্পে কয়েকজন ঋণ পাবেন। মূলত, উৎপাদনমূলক বা পরিষেবামূলক প্রকল্পের ক্ষেত্রে ঋণ মেলে কর্মসৃজন প্রকল্পে। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রকল্পের সুফল নিয়ে বেকার যুবক- যুবতীরা ধান ভাঙা, গম পেশাই, মশলা তৈরি, মাদুর বা মাদুরজাত দ্রব্য তৈরি, কাঠের আসবাবপত্র তৈরি প্রকল্প কিংবা সাইকেল রিপেয়ারিং, পাম্পসেট রিপেয়ারিং, অটোমোবাইল রিপেয়ারিং প্রকল্প করতে পারেন। অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের সুফল পেতে অনেকেই আবেদন করেন। তবে তাঁদের নামমাত্র প্রকল্পের সুফল পান। গড়িমসির অভিযোগ মূলত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই।
আবেদনকারীদের বক্তব্য, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষই প্রকল্পের অনুমোদন দিতে গড়িমসি করে। প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে প্রকল্প রুপায়নে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। ফলে, বেকার যুবক- যুবতীরা বঞ্চিত হন। আবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ঋণ নিয়ে অনেকে তা সময় মতো শোধই করেন না। ফলে সমস্যা হয়। ঋণ শোধের হার বাড়লে আরও বেশি সংখ্যক বেকার যুবক- যুবতীদের ঋণ দেওয়া যেতে পারে। প্রতিমন্ত্রীর পাশাপাশি বুধবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুমন ঘোষ প্রমুখের। জেলা শিল্প কেন্দ্রের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “হস্ত ও তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সব রকম চেষ্টা চলছে। এই শিল্পকে আরও প্রসারিত করা হচ্ছে। আগামী দিনেও এমন শিবির করা হবে।” |
|
|
|
|
|