|
|
|
|
বিএডে দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিএডের ছাত্র ভর্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। দশ দিনের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “বিষয়টি নজরে আসার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তদন্তে যদি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। তিনি কলেজের কেউ হতে পারেন, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের। দুর্নীতির প্রমাণ মিললে কেউ ছাড় পাবেন না। ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়েছে।
বিএডে ভর্তির জন্য মেধা তালিকা বেরোয়। কাউন্সেলিং হয়। ফলে, এ ক্ষেত্রে সাধারণত অস্বচ্ছতা থাকে না। মেধা তালিকায় কার নাম রয়েছে, কত নম্বরে রয়েছে, তা জানার সুযোগ সকলেই কাছেই থাকে। অভিযোগ উঠেছে, তালিকায় নাম নেই, এমন দু’জন ছাত্র চন্দ্রকোনা টাউন এলাকার এক বিএড কলেজে ভর্তি হয়েছেন। এমনকী, তাঁদের রেজিস্ট্রেশনও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই দুই ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন হল, সে প্রশ্নও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১৬ তারিখ বিষয়টি উপাচার্যের নজরে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আধিকারিকই তাঁকে বিষয়টি জানান। তাঁদের বক্তব্য ছিল, চন্দ্রকোনা টাউন এলাকার এক বিএড কলেজে এমন দু’জন ছাত্র ভর্তি হয়েছেন, এবং তাঁদের রেজিস্ট্রেশনও হয়েছে, যাঁদের নাম মেধা তালিকায় নেই। বিষয়টি জানতে পেরেই তদন্তের নির্দেশ দেন উপাচার্য। সেই মতো দুই সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গড়া হয়। ওই কমিটি তদন্তও শুরু করেছে। এমন ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোও। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিএড সংগ্রাম কমিটি। স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। কমিটির নেতা দীপক রায় বলেন, “ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছি। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে কলেজটির অনুমোদনই বাতিল করা উচিত। ঘটনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের শাস্তিরও দাবি জানিয়েছি।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার বক্তব্য, “আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। রিভিউয়ে নম্বর বাড়া এক ছাত্রীকে কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিএডে ভর্তি করা হয়েছে। এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। ওই দুই ছাত্র কী ভাবে ভর্তি হল, তার তদন্ত করা উচিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ, কেউই দায় এড়াতে পারে না।” |
|
|
|
|
|