শহরে জমছে বিকেলের জঞ্জাল, সরাতে পুর-উদ্যোগ
বিকেলের দিকে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে নজর কম থাকায় শহরে আবর্জনা জমছে বলে মনে করছে পুর-প্রশাসন। এমনকী একশো দিনের কাজে জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য কর্মী নিয়োগ করেও তেমন লাভ হচ্ছে না। এ দিকে, শহরে জঞ্জাল জমা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে একাধিক বার সতর্ক করেছেন পুর প্রশাসনকে। মহাকরণে ডেকে পাঠিয়ে কাউকে কাউকে ধমকেছেনও। সেই গাফিলতি রুখতেই ঠিক হয়েছে, এ বার থেকে রোজ শহরের জঞ্জাল অপসারণের কাজ নিয়ে হিসেব দিতে হবে এলাকার কর্তব্যরত অফিসারদের। কোথাও ত্রুটি থাকলে তার কারণও দর্শাতে হবে।
এ ভাবেই জমছে জঞ্জাল। —নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে শহরকে সুন্দর রাখতে চান, তা এখনও হয়ে ওঠেনি। আর সেই কারণেই দিন কয়েক আগে স্বাস্থ্যভবনে এক অনুষ্ঠানে শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার করার ব্যাপারে সজাগ করেন পুর কমিশনারকে। জানিয়ে দেন, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর ভাল কাজ করছে। ওই মডেলেই কাজ করুন। পুর প্রশাসনের মতে, জমা জঞ্জালের সঙ্গে কলকাতাবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও জড়িত। শুধু স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা থাকলেই চলবে না, তার সঙ্গে সমন্বয় রাখতে শহর সাফ রাখার কাজটিও করতে হবে সচেতন ভাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পরে শহরের জঞ্জাল অপসারণের কাজে গাফিলতি রুখতে কোমর বেঁধে নামছে পুরসভা। এক পদস্থ অফিসারের কথায়, “স্বাস্থ্য দফতরের মডেলে এ বার থেকে প্রতি সন্ধ্যায় জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। সারা দিনে শহরের কোথায় জঞ্জাল সরানো হয়েছে, কোথায় হয়নি এবং কেন হয়নি, তার হিসেব নেওয়া হবে।” তবে জঞ্জাল অপসারণে এই নতুন দাওয়াই কতটা ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ রয়েছে কর্মীদের মনে।
পুর-উদ্যোগে জঞ্জাল সাফাইয়ে গতি আনতে নতুন দাওয়াই।
জঞ্জাল অপসারণের কাজে এই গাফিলতি বিষয়ে পুরসভার এক পদস্থ কর্তা জানান, এই বিভাগের অনেক কর্মী দীর্ঘকাল একই বিভাগে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে জঞ্জাল অপসারণের কাজে শিথিলতা চলে এসেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে সম্প্রতি জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে পুর কমিশনারের নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠক হয় পুরসভায়। পুর সচিবালয়ের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “দিনের শেষে স্বাস্থ্য দফতর সারাদিনের কাজকর্মের হিসেব নেয়। সে ভাবেই কাজ করার কথা বলা হয়েছে জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে।”
কী বলছেন ওই দফতরের কর্তারা? মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, “সকালের দিকে শহরের জঞ্জাল অপসারণের কাজ ঠিকঠাক হয়। আর তার রিপোর্টও জমা পড়ে দফতরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের জঞ্জাল পড়ে।” তিনি জানান, তখন পুরসভার নিজস্ব কর্মীরা থাকেন না। ঠিকা কর্মীরা ওই কাজ করে থাকেন। সেই রিপোর্ট আর পুরসভায় জমা পড়ে না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.