স্কুলের তরফে গাফিলতিতে নদীতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক ছাত্রীর, এমনই অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলে।
সোমবার বিকেলে স্থানীয় কায়বা গ্রামের দুর্গাপুর জুনিয়র হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তী পরামাণিকের (১১) দেহ পাওয়া যায় লাগোয়া মুণ্ডেশ্বরী নদীতে। পুলিশের অনুমান, শৌচকর্ম করতে গিয়ে সম্ভবত পা হড়কে নদীতে পড়ে ডুবে যায় মেয়েটি। তবে শ্রাবন্তীর পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলের শৌচাগারটি শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকারাই ব্যবহার করেন। অন্য সময় সেটি তালাবন্ধ রাখা হয়। পড়ুয়ারা বাধ্য হয়ে নদীর ধারে শৌচকর্ম করে। আর তা করতে গিয়েই সম্ভবত বেকায়দায় নদীতে পড়ে যায় শ্রাবন্তী। এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীটির পরিবার।
ওই ছাত্রীর বাবা তারক পরামাণিক পেশায় দিনমজুর। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “মেয়েটা ক্লাসঘরে বইপত্র রেখে কোথায় গেল, সে ব্যাপারে কোনও খোঁজই করেনি স্কুল। বিকেল ৪টে নাগাদ ছুটির পরেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় স্কুলে খোঁজ করতে গিয়ে দেখি, এক জন ছাড়া সব শিক্ষক বাড়ি চলে গিয়েছেন। যিনি স্কুলে ছিলেন, তিনি মেয়ের ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি। খঁুজতে খঁুজতে নদীর ধারে গিয়ে দেখি, মেয়ের দেহ জলে ভাসছে। সেই সময় ওই শিক্ষক মেয়ের বইয়ের ব্যাগ আমাকে দিয়ে পালিয়ে যান।” তাঁর ক্ষোভ, “ঘটনা জেনেও স্কুলের তরফে এ দিন পর্যন্ত আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে, কাদের তরফে গাফিলতি হয়েছে।”
এ দিন স্কুলটি বন্ধ ছিল। স্কুল উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত্ শাসমল বলেন, “স্কুলের শৌচাগারে তালা থাকার কথা নয়। কী হয়েছে, খোঁজ নিচ্ছি। কেন শিক্ষকেরা ছাত্রীটির খোঁজ করেননি, তা-ও দেখা হচ্ছে।” গ্রাম শিক্ষা কমিটির সম্পাদক নবকুমার শাসমল বলেন, “শৌচাগারে তালা থাকাতেই এই ঘটনা ঘটল কি না, দেখা হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে। |