|
|
|
|
শতবর্ষে ত্রিপুরার প্রথম দৈনিকের সম্পাদক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা সাংবাদিক জিতেন্দ্রচন্দ্র পাল আজ শতবর্ষে পদার্পণ করলেন। তিনি ত্রিপুরার প্রথম দৈনিকের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। ১৯১৪ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত বাংলার কুমিল্লা জেলার সিমরাই গ্রামে তাঁর জন্ম।
|
জিতেন্দ্রচন্দ্র পাল।
ছবি: উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী। |
জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আগরতলা প্রেস ক্লাবের তরফে শতায়ু জিতেন্দ্রবাবুকে আজ সংবধর্না দেওয়া হয়। তাঁর বাসভবনের সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও হাজির হন। স্মৃতি হাতড়ে মানিকবাবুর উদ্দেশে শতায়ু জিতেনও গড়গড় করে বলে গেলেন, ‘যখন যে বিষয়ে ওঁনার কাছে গিয়েছি, কোনও না কোনও ভাবে তা সমাধান করার চেষ্টা করেছেন মানিক।’ জিতেনবাবু ত্রিপুরায় আসেন ১৯৩৯ সালে। ছাত্রজীবনেই স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েক বার জেলও খাটেন তিনি। কিছু দিন পেশা হিসেবে বেছে নেন শিক্ষকতাকে, পরে ব্যাঙ্কের চাকরি। কিন্তু জাতি দাঙ্গা এবং উদ্বাস্তু সমস্যায় বিচলিত হয়ে পড়ে চাকরি-বাকরি ছেড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ্যের উদ্বাস্তু পুনর্বাসন আন্দোলনে। তৈরি করেন নিজস্ব দ্বি-সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘জনকল্যাণ’ ১৯৪৯ সালে। কিন্তু রাজরোষে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর সংবাদপত্র। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক হিসেবে শুরু করেন একটি দৈনিক পত্রিকা ‘জাগরণ’। রাজ্যে সংবাদপত্র ইতিহাসে যা প্রথম বাংলা দৈনিক হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৪ সালে সেটির মালিকানা পরিবর্তিত হয়। তিনিও অবসর নেন। কিন্তু লেখনী বন্ধ করেননি। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলির মধ্যে রয়েছে ‘পণ সামাজিক অভিশাপ’, ‘ত্রিপুরার ইতিবৃত্ত’, ‘রাজমালার ত্রিপুরা’, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহিদেরা’, ‘ত্রিপুরায় শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবান্দোলন ও গাঙ্গাইল রোড’।
স্মৃতিচারণায় জিতেনবাবু জানান, ‘‘দেশভাগের যন্ত্রণা আজও আমায় কুড়ে কুড়ে খায়।’’ গত শতাব্দীর চল্লিশ এবং পঞ্চাশ দশকে ত্রিপুরার রাজনৈতিক ইতিহাসের চড়াই-উতরাইয়ের কথা শোনাতেও সমান আগ্রহী ছিলেন তিনি।
বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় আগত উদ্বাস্তুদের নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির প্রাথমিক উদাসীনতা খুবই দুঃখজনক। এ রাজ্যে কেউই ভাল চোখে দেখেনি উদ্বাস্তুদের। উপজাতিদের উস্কানো হয়েছিল।” |
|
|
|
|
|