জেলায় তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ছয় জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম ইব্রাহিম শেখ (২১) ও ফিরোজ আহমেদ (১৮)। প্রথম জনের বাড়ি মাড়গ্রামের কুঠিপাড়ায়। ফিরোজ মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ থানার শেখপুরের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে মাড়গ্রাম লাগোয়া করঞ্জিতলা এলাকার একটি মেলা দেখে মোটর বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ইব্রাহিম ও তাঁর বন্ধু সায়েদ শেখ। |
সিউড়িতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস।—নিজস্ব চিত্র। |
পথে মাড়গ্রাম-হাঁসন রাস্তার উপরে, ভুরভুরি কাঁদরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বাইকটি রাস্তার ধারে একটি পিলারে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ইব্রাহিমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, একই রাতে ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুরে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের ধারে গাড়ি থামিয়ে চাকা পরীক্ষা করছিলেন ফিরোজ আহমেদ। ওই সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিকে, মঙ্গলবার সকালে সিউড়ি-সাহাপুর রাস্তায় একটি বাস দুর্ঘটনায় জখম হওয়ায় পাঁচ বাসযাত্রীকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। |
সিউড়ি যাওয়ার পথে ইন্দগাছা গ্রামের কাছে সামনের চাকা ফেটে গেলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। কয়েকজন যাত্রী অল্প বিস্তর জখম হলেও পাঁচজনকে হাসপতালে ভর্তি করতে হয়। বাসটিকে পুলিশ আটক করেছে। চালক পলাতক।
|
নির্বিঘ্নেই মিটল নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৮৬ নম্বর বুথের পুনর্নির্বাচন। মঙ্গলবার নলহাটি থানার ধামড়ি ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দারা ফের ভোট দিলেন। ভোট পড়েছে প্রায় ৮৯ শতাংশ। গত শনিবারের তুলনায় সামান্য কম। নলহাটি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার সুব্রত রায় বলেন, “গণ্ডগোল এড়াতে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ দিন ৫১৮ জন ভোটারের মধ্যে ৪৬২ জনই ভোট দিয়েছেন।” ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ পর্যবেক্ষক এমএস জয়া। এলাকায় ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাস ও রামপুরহাটের এসডিপিও দেবাশিস নন্দীও। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের অন্য দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গেই নলহাটি কেন্দ্রের ফলাফলও ঘোষণা হবে। গণনা হবে রামপুরহাট কলেজে।
|
হাসপাতালে শ্লীলতাহানি, ধৃত ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
হাসপাতাল চত্বরে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম পিন্টু শেখ, সাদ্দাম শেখ ও শফিক শেখ। প্রত্যেকের বাড়ি রামপুরহাট থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের দিঘিরপাড় এলাকায়। সোমবার রাতে ওই তিন যুবককে জয়কৃষ্ণপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় অন্য দুই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের সাত দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। গত রবিবার রাতে বাবাকে খাবার দিয়ে কোয়ার্টারে ফিরছিলেন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের এক কর্মীর মেয়ে। তরুণীর অভিযোগ, ফেরার পথে হাসপাতাল চত্বরেই পাঁচ যুবক তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তারা তরুণীর কাপড় ধরে টানাটানি করে তাঁকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। তরুণীর দাদা দাবি করেছিলেন, বোনকে বাঁচাতে গিয়ে যুবকদের হাতে তিনিও আক্রান্ত হন। |