চোর সন্দেহে বাসিন্দাদের গণপ্রহারে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। সোমবার রাতে আউশগ্রাম থানার আসিন্দা ও জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম লাগোয়া মাঠে ঘটনাটি ঘটে। মৃত যুবকের নাম রাজু ঘোষ (৩৬)। আসিন্দা গ্রামেরই বাসিন্দা তিনি। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার জন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ওই ঘটনায় কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আউশগ্রামের পুলিশ জড়িতদের খুঁজছে।”
পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে ওই দুই গ্রাম সংলগ্ন মাঠে পাঁচ যুবককে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। রবিবার রাতেই ওই মাঠ থেকে একটি সেচের কাজে ব্যবহৃত শ্যালোপাম্প চুরি গিয়েছিল। ফলে গ্রামের কিছু চাষি ওই পাঁচ যুবককে চোর বলে সন্দেহ করেন। এই পাঁচ যুবকের নাম রাজু ঘোষ, হারু হেমব্রম, লালটু কিস্কু, বহালি হেমব্রম ও মাতাল হেমব্রম। হারু ও লালটুর বাড়ি স্থানীয় তকিপুরে। অন্য দুজনের বাড়ি গলসির সাহেবডাঙায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে গুসকরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে রাজুকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে মৃত রাজুর ভাই বৈজু ঘোষের দাবি, রবিবার রাতে ওই মাঠ থেকে যে চাষির পাম্পসেট চুরি যায়, তিনি গ্রামের লোকজন জুটিয়ে কয়েকজনকে জেরা করতে শুরু করেন। জেরার মুখে মাতাল হেমব্রম বলেন, চুরির ঘটনায় রাজুর হাত রয়েছে। এ কথা শুনেই ওই চাষি দলবল নিয়ে রাজুর বাড়িতে চড়াও হন। বাড়িটি ভাঙচুরও করা হয়। রাজু তখন বাড়িতে ছিলেন না। ফেরার পথে তাঁকে ধরে ওই চাষি ও তাঁর সঙ্গীরা মারধর শুরু করেন। কাটারি, টাঙি, লোহার রড দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। বৈজু বলেন, “দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার হাতেও আঘাত লেগেছে।” রাতেই বৈজু আউশগ্রাম ফাঁড়িতে ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরার আগেই তারা গা ঢাকা দেন। |