খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ |
ছাঁদনাতলায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু পাত্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও পুরুলিয়া |
ছাঁদনাতলাতেই মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করেছিল পাত্রের। নার্সিংহোমে ভর্তি করানোর পরে মৃত্যু হল তাঁর।
সোমবার রাতে পুরুলিয়ার সাঁতুড়িতে মেয়ের বাড়ির লোকজন মিষ্টি ও শরবত খাইয়ে বরণ করার পরেই পাত্র পার্থ মণ্ডল (২২) অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, ময়না-তদন্ত রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে শরীরে বিষক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে।
আসানসোলের হিরাপুরে করঞ্জবেড়া গ্রামের পার্থ সোমবার রাতে বিয়ে করতে যান সাঁতুড়ির বালিয়াতোড় গ্রামে। তাঁর বাবা ভূতনাথবাবুর অভিযোগ, পাত্রীপক্ষ পার্থকে মিষ্টি ও শরবত খাওয়ান। তার কিছু পরে ছাঁদনাতলায় গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হতচকিত হয়ে পড়েন দুই বাড়ির লোকজনই। |
ভূতনাথবাবু অভিযোগ করেন, পাত্রীপক্ষ পার্থকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হননি। তাঁরাই তাঁকে আসানসোলে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খবর পৌঁছনোর পরেই বিয়েবাড়িতে কান্নার রোল ওঠে করঞ্জবেড়ায়। পার্থর মা নমিতাদেবী বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। সাঁতুড়িতে মেয়ের বাড়িও ঘটনার পর থেকে নিস্তব্ধ। পাত্রী বা তাঁর বাড়ির কেউ এই ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তবে তাঁদের এক আত্মীয়ার দাবি, “বিষক্রিয়া হতে পারে এমন কোনও খাবার আমরা ছেলেকে খাওয়াইনি। তাঁর পরিবার কেন এমন অভিযোগ তুলছে জানি না। অসুস্থকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছিলাম আমরা। কিন্তু সে সব হওয়ার আগেই তাঁর বাড়ির লোকজন তাঁকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেলেন।”
আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সুরেশ কুমার জানান, মৃতের পরিবার নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে সাঁতুড়ি থানার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর করছেন তাঁরা। |