উইলসন’স ডিজিজ। রোগটা জটিল এবং বিরল। তাঁরা তা জানেন। সব কিছু জেনেও তাঁরা চিকিৎসা করতে পারছেন না বন্ধুর। চিকিৎসা করার ক্ষমতা না থাকলেও হাত গুটিয়ে বসে নেই সৌমদীপ, নাজিরা, দেবাশিসদের মতো আরও অনেক মেডিক্যাল পড়ুয়া। তাঁদের সহপাঠী বিলকিসকে সুস্থ করে তুলতে অনেক টাকার প্রয়োজন।
কিন্তু বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বিলকিস খাতুনের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তাই টাকা জোগাড় করতে সহপাঠীরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল এমন কী স্থানীয় বিধায়কের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছেন। |
কী হয়েছে হুগলির পোলবা এলাকার বাসিন্দা বিলকিসের? বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু জানান, বিলকিস উইলসন’স ডিজিজে আক্রান্ত। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। প্রথমে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বর্তমানে দিল্লিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বিলকিস। সুপার বলেন, “ওই ছাত্রীর লিভারের একটা অংশ পরিবর্তন করতে হবে। যার জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হতে পারে।” তার মধ্যে তামা একটি। বিলকিসের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা ইমরান হোসেন মোল্লা কৃষিজীবী। কয়েক বিঘা জমিতে চাষ করে সংসার চালান তিনি। তাঁর দুই মেয়ে নুরজাহান ও বিলকিস। নুরজাহানের কথায়, “বাবা অনেক কষ্টে আমাদের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন। বিলকিসের অস্ত্রোপচারের জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা বাবার পক্ষে জোগাড় করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।” বিলকিসের পরিবারের এই অবস্থার কথা জেনেই তাঁর বন্ধুরা এগিয়ে আসেন। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌমদীপ ঘোষ, দেবাশিস তলবদার, তৃতীয় বর্ষের নাজিরা খাতুন, সৌরভ মুখোপাধায়দের কথায়, “প্রিয় বন্ধুকে সুস্থ করে তুলতে আমরা আমাদের তরফ থেকে পুরো চেষ্টা করছি।” |