কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালে ১৬টি চিকিৎসকপদ দীর্ঘদিন থেকে ফাঁকা পড়ে থাকায় পরিষেবা ঠিক মতো না মেলার অভিযোগ উঠেছে রোগী মহলে। অস্ত্রোপচারেও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ওই সমস্যার কারণে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ লেগেই থাকে। চিকিৎসকদের শূন্যপদ পূরণের দাবিতে সোমবার হাসপাতাল সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। প্রায় দু’ঘন্টা ভারপ্রাপ্ত সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ওই সংগঠনের কর্মী ও সমর্থকরা। যদিও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “সমস্যার কথা জানি। স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত শূন্যপদ গুলি পূরণের ব্যবস্থা হবে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে। রয়েছেন ৩৮ জন। মেডিসিন বিশেষজ্ঞের ৪টি পদের মধ্যে ২টি, শল্য চিকিৎসকের ৪টির পদের মধ্যে ৩টি, নাক-কান-গলা বিভাগে ৩টি পদের মধ্যে ২টি এবং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ২ জন চিকিৎসকের পদ ফাঁকা পড়ে আছে। এছাড়াও মেডিক্যাল অফিসারদের ১৫টি পদের মধ্যে ৭টি খালি। গত কয়েক মাসে ২ জন শল্য চিকিৎসক এবং নাক-কান-গলা বিভাগের ১ জন চিকিৎসক স্বেচ্ছাবসর নিয়ে চলে যান। আরও একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ স্বেচ্ছাবসরের আবেদন করেছেন। ওই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার হাল নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোগীরা অভিযোগ তুলেছেন বহির্বিভাগ নিয়মিত খোলা থাকে না। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার জানান, চিকিৎসক সংখ্যা কম থাকায় কেউ ছুটিতে গেলে মাঝেমধ্যে বহির্বিভাগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বদলে সাধারণ চিকিৎসকদের দিয়েও কাজ চালাতে হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের তারিখ পেতেও রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ নাথ বলেন, “সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি মিটে যাবে।” যদিও মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য কর্তাদের ওই বক্তব্যে খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছেন না ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব। সংগঠনের কোচবিহার জেলা নেতা রাকেশ চৌধুরী বলেন, “শুধু আশ্বাস দিয়ে লাভ নেই। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ফের আন্দোলন হবে।” |