জলকষ্টের আশঙ্কা শিলিগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গরমের শুরুতে জল কষ্টের আশঙ্কা করছেন শিলিগুড়ি পুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। বিরোধী কাউন্সিলররা তো বটেই পুরসভায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের অনেক কাউন্সিলারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। পুর কর্তৃপক্ষকে তারা এ ব্যাপারে জানিয়েছেনও। পুর কর্তৃপক্ষ জানায়, পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে তাঁরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছেন। বিশেষ করে ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এলাকায় দিঘি কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহাত্মা গাঁধী গ্রামীণ কর্ম সংস্থান প্রকল্পে জলপাইগুড়ি জেলাপ্রশাসনের তরফে বরাদ্দও মিলেছে। প্রকল্পের অধীনে মাটি কাটার কাজে এলাকার বাসিন্দাদের দিয়ে দিঘি কাটানো হবে। ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ১০০ ঘন মিটারের ওই দিঘি হবে। তা ছাড়া বস্তি এলাকা-সহ আরও কিছু ক্ষেত্রে পানীয় জল প্রকল্পে টাকা এসেছে। তবে কাজ করতে যে সময় লাগবে তাতে আসন্ন গরমে সমস্যা মেটাতে তা সহায়ক হবে কি না প্রশ্ন উঠেছে।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “দিঘি কাটা-সহ পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু পরিকল্পনা কার্যকর করতে দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু হবে। দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদও বিষয়টি দেখছেন।” জল সরবরাহ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। তিনি জানান, সম্প্রতি ইউআইডিএসএসএমটি প্রকল্পে ৫ কোটি এবং বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসেছে পানীয় জল সরবরাহের কাজে। ৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে শিবরামপল্লি এলাকার জলাধারের কাজ শেষ করে তা চালু করতে এবং শালুগাড়া এলাকায় নতুন পাইপ লাইন পাতার কাজে। নিয়ন্ত্রিত বাজারের কাছে জলাধার প্রকল্প মার্চে চালু করা হবে। সূর্য সেন কলেজ লাগোয়া যে জলাধার রয়েছে সেটি চালু হবে এপ্রিল মাসে। পানীয় জলের অপচয় বন্ধ করতে স্ট্যান্ড পোস্টগুলিতে ‘পুশ কক’ লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাতে কেউ জল নেওয়ার পর তা নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর স্বপন চন্দ জানান, তাঁর ওয়ার্ডে দুর্গানগর, মজুমদার কলোনি, কুমারটুলি, তেঁতুলতলা-সহ এলাকার অন্তত ১৫০০ বাসিন্দা গরমে জল কষ্টে ভুগবেন। ওই সব এলাকায় স্ট্যান্ড পোস্ট পর্যাপ্ত নেই। পাইপ লাইন সরু থাকায় কলগুলি দিয়ে সুতোর মতো ধারায় জল পড়ে। পাইপ বসাতে ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে। কিন্তু কাজ না-হওয়ায় দুর্ভোগ মেটেনি। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর শর্মিলা দাস জানান, মজদুর কলোনি, মাতঙ্গিনী কলোনি ১ এবং ২, সর্বহারা কলোনি এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ওয়ার্ডের অন্তত জনা দশেক বাসিন্দা বহুদিন বাড়িতে পানীয় জলের লাইন নিতে আবেদন করেও সংযোগ পাননি। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর কমল অগ্রবালও একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। ১, ১৮, ২০, ২৩, ২৪ নম্বর সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষই জানিয়েছেন। |