সামাজিক কাজকর্মের নাম করে প্রতারণার কারবার চালানোর অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। একই অভিযোগে ওই মহিলার স্বামী, ভাসুরের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বছর পাঁচেক ধরে বসিরহাটের মালতিপুর স্টেশনের পাশে অফিস খুলে বসেছিল ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। কর্মসংস্থানের টানে বহু মহিলা আসেন সেখানে। পুলিশ জানায়, কিছু দিন পর থেকেই ওই সংস্থা মহিলাদের সংস্থার কাছে সঞ্চয়ের পরামর্শ দেয়। জমা টাকা বেশি সুদে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। আরও গ্রাহক জোগাড়ের জন্যও উৎসাহিত করা হয় মহিলাদের। এ ভাবেই ক্রমে ফুলেফেঁপে ওঠে ব্যবসা। জানুয়ারি মাসেও জমা টাকা ফেরত না পেয়ে ওই মহিলাদের সন্দেহ দানা বাঁধে। তপতি দাস নামে মালতিপুরেরই বাসিন্দা তথা সংস্থার কর্ণধারের স্বামী মনোজ ও ভাসুর মোহন দাস এলাকা ছেড়েছেন বলে খবর রটে যায়। রবিবার তপতীকে ঘেরাও করে পুলিশ ডাকেন এজেন্টরা। গ্রেফতার করা হয় ওই মহিলাকে। তাঁকে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
হালিমা বিবি, আজুবা বিবিদের বক্তব্য, “প্রথমে সমাজসেবার নাম করে আমাদের নিয়ে আসা হয়েছিল সংস্থায়। পরে টাকা রাখার লোভ দেখানো হয়। গ্রাহক জোগাড় করতেও বলা হয়। এখন দেখছি সবই ফাঁকি। এদের পাল্লায় পড়ে সর্বস্বান্ত হতে হল।” ঝুমা বিশ্বাস, সংযুক্তা সাহাদের দাবি, প্রায় ৩০০ এজেন্ট মারফত হাজার তিনেক মানুষের ৩০-৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বসিরহাটের আইসি শুভাশিস বণিক। |