অ্যাডমিট কার্ড না থাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারল না এক ছাত্রী। সোমবার পরীক্ষার প্রথম দিন এই ঘটনা ঘটেছে বসিরহাটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসিরহাট থানা ঘেরাও করেন ওই ছাত্রীর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। অবরোধ করা হয় ইটিন্ডা রোড। বসিররহাটের এসডিপিও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এ বিষয়ে বসিরহাটের চারটি স্কুলের সেন্টার ইনচার্জ রথীন রায় বলেন, “এমবিএস ন্যাওড়া হাইস্কুলের ওই ছাত্রী আসমাতারা খাতুনকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার মতো কোনও নথি (পড়ুন অ্যাডমিট কার্ড) স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর অভিভাবকেরা দেখাতে পারেননি। বোর্ড কর্তৃপক্ষের তরফেও জানানো হয়েছে ওই ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেছে এমন কোনও নথি তাঁদের কাছে নেই। সেই কারণেই ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
এই অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগ, আসমাতারার পরীক্ষা সংক্রান্ত নথিপত্র প্রধানশিক্ষক সঠিক ভাবে বোর্ডে পাঠাননি। তাই তার অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক কুন্দন হালদার। তাঁর বক্তব্য, “কাগজপত্র সঠিক সময়েই বোর্ডে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সকল পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড এসে পৌঁছলেও আসমাতারা খাতুনের অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানাই। কিন্তু তাদের তরফে‘দেখা হচ্ছে’ বলা হয়।”
এ ব্যাপারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রবিবার রাত পর্যন্ত সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড পাঠানোর ব্যাপারে কাজ হয়েছে। ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক কাগজপত্র দিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার কথা। তবে আসমাতারার বিষয়টি জানা নেই।” তবে পরীক্ষায় দিন সকালেও কেন তিনি আসমাতারা খাতুনের অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার বিষয়টি পর্যদকে জানালেন না, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। |