গভীর রাতে পুলিশ সেজে রাজ্য সড়কের গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করছিলেন চার ব্যক্তি। পাশেই দাঁড় করানো পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি। দেখে বোঝার উপায়ই নেয় আসলে তাঁরা পুলিশের ভেকধারী তোলাবাজ। কিন্তু বিপত্তি বাঁধল খানিক পরেই। টাকা দিতে না চাওয়ার এক ট্রাক ড্রাইভারকে বেধড়ক মারধর করে টহলরত ওই ‘পুলিশেরা।’ ওই ট্রাক চালকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা পড়ে যান ওই চার ব্যক্তি। ধৃতেরা হলেন পুলক মজুমদার, সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবরাজ ঘোষ ও দেবেন মণ্ডল। তাঁরা সকলেই কৃষ্ণনগর শহরের বাসিন্দা। ধৃত পুলক মজুমদারের বাবা ছিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্মী। পুরো বিষয়টিই তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। রবিবার রাতে কৃষ্ণনগর-বগুলা রাজ্য সড়কের উপর ইছাপুর এলাকায় ওই ‘পুলিশকর্মীরা’ গাড়ি পিছু ৩৫০ টাকা করে আদায় করছিলেন। হাবেভাবে বোঝার উপায়ই নেই তাঁরা ভুয়ো পুলিশ। গাড়ি চালকরা তাই ভয়ে ভয়ে হাতে টাকা গুজে দিচ্ছিলেন তাঁদের। কিন্তু বেঁকে বসেন সমিরুদ্দিন শেখ নামে এক ট্রাক ড্রাইভার। তিনি টাকা দেননি। ফলে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় টাকা পয়সা। সোমবার সকালে তিনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে গাড়িটির হদিশ পায়। পরে তারই সূত্র ধরে ধরা হয় ওই চার জনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা এর আগেও জেলায় অন্যান্য প্রান্তেও তাঁরা এই ভাবে গাড়ি থামিয়ে তোলা আদায় করত। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা সিভিল-ডিফেন্সের সদস্য। পুজোর সময় তাঁরা ভিড় সামলানোর কাজ করেছিলেন।”
|
শিক্ষকদের সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
রবিবার রানাঘাটের আনুলিয়া অঞ্চলে তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রানাঘাট-২ চক্রের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে হাজির ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অমলেশ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, “মিড-ডে মিলের দায়িত্ব থেকে শিক্ষকদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন। পাঠ্যসূচীতে বরেণ্য ব্যক্তিদের জীবনী অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।”
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
রাস্তা পেরোতে গিয়ে লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল জসীমউদ্দিন সেখ (২৫) নামে এক যুবকের। সোমবার সকালে সাগরদিঘি থানার বাহালনগরের ঘটনা।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। নাম রেজিনা বিবি (২৩)। বাড়ি হাঁসখালির বড় চুপড়িয়া এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে ঘরের ভিতর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
|
|
সোমবার দুপুরে নাগাদ ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া পঞ্চায়েতের মুসলিম পাড়ায় ভস্মীভূত হয়ে গেল ১৮টি বাড়ি। ১০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে পুড়েছে তাঁতও। প্রথমে গ্রামবাসীরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নেভায়। নবদ্বীপের দমকলের অফিসার সুশীল পাল বলেন, “রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।” মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন।—নিজস্ব চিত্র। |
|