রেল বাজেটে আশায় অধীর দুই জেলা
বহরমপুর
১) পঞ্চাননতলা ও চুঁয়াপুর রেলগেটে উড়াল পুল নির্মাণ।
২) নসিপুর রেলসেতু দিয়ে ট্রেন চালু।
৩) ধনধান্য এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে লালগোলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ।
৪) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলি খোলা রাখা।
৫) এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিষেবা বাড়াতে হবে।
৬) ৫৩১৮১ আপ ও ৫৩১৭২ ডাউন লালগোলা প্যাসেঞ্জারে বাতানুকূল কামরা দেওয়া দরকার। সেই সঙ্গে ওই দুটি ট্রেনে সংরক্ষিত কামরার সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৭) লালগোলা-শিয়ালদহ রুটে সকাল ৯.২০ মিনিট থেকে ২.৪০ মিনিট পর্যন্ত লালগোলা থেকে সরাসরি শিয়ালদহ যাওয়ার ট্রেন।
৮) লালগোলা প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেনে বগির সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
৯) কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রুটে লালবাগ কোর্ট রোড স্টেশনের উন্নয়ন এবং সমস্ত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে ওই স্টেশনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা।
১০) কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রুটে ডাহাপাড়া ধাম হল্টকে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের রূপ দিতে হবে।
১১) বহরমপুর স্টেশনের আধুনিকীকরণ। ১২) রাতের দিকে খাগড়াঘাট স্টেশনে করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবহণের বন্দোবস্ত।

কৃষ্ণনগর
১) সকাল ১০.৫ মিনিট ও দুপুর ১২. ১০ মিনিটের মাঝে কৃষ্ণনগর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত নতুন ট্রেন চালু করা দরকার।
২) সকালের দিকে কৃষ্ণনগর থেকে সরাসরি প্রিন্সেপ ঘাট পর্যন্ত ট্রেন চালু করার দাবি।
৩) সমস্ত লোকাল ট্রেনগুলিকে ১২ বগি এবং লালগোলা প্যাসেঞ্জারকে ১৪ বগি করতে হবে, দাবি যাত্রীদের।
৪) হাজারদুয়ারি ও ধনধান্য এক্সপ্রেস দুটি ট্রেনের দমদম স্টেশনে স্টপেজ দিতে হবে।
৫) ধনধান্য এক্সপ্রেস সপ্তাহে সাত দিনই চালু করতে হবে এবং লালগোলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।
৬) কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ রুটে যাতায়াতকারী ১টি এক্সপ্রেস ট্রেনকে ভায়া শান্তিপুর স্টেশন পর্যন্ত চালু করতে হবে, দাবি যাত্রীদের।
৭) কৃষ্ণনগর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ছাউনি বাড়াতে হবে এবং শৌচাগার নির্মাণ করতে হবে, দাবি যাত্রীদের।
৮) স্টেশনে নিয়মিত পানীয় জলের সরবরাহ করতে হবে এবং পানীয় জলের কলের সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
৯) কৃষ্ণনগর স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো দরকার, দাবি যাত্রীদের।
১০) বেথুয়াডহরি ও পলাশি স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে টিকিট কাউন্টার খুলতে হবে এবং প্ল্যাটফর্মে ছাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।
১১) সকালের দিকে লালগোলা-রানাঘাট ডিএমইউ ট্রেনটিকে রানাঘাট থেকে সম্প্রসারণ করে শিয়ালদহ পর্যন্ত চালাতে হবে।

জঙ্গিপুর
১) নবদ্বীপ ধাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি নবদ্বীপ থেকে সকালের দিকে মালদহ যায়। বিকেলের দিকে মালদহ থেকে নবদ্বীপে পৌঁছায়। দাবিসকালের দিকে মালদহ থেকে নবদ্বীপে গেলে সুবিধা হবে।
২) মালদহ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৭টার বদলে ভোরের দিকে জঙ্গিপুর স্টেশনে এসে পৌঁছালে কলকাতা থেকে কাজ সেরে দিনের দিন ফিরে আসা সম্ভব হবে।
৩) শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর ডিএমইউ ট্রেনটি ব্যান্ডেল থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে দাঁড়ায়। এতে শিয়ালদহ পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
৪) গুয়াহাটি-কলকাতা, কামাখ্যা-পুরী, এনজেপি-দিঘা ও ডিব্রুগড়-কলকাতা এক্সপ্রেস আপ ও ডাউন ট্রেনের জঙ্গিপুর স্টেশনে কোনও স্টপেজ নেই।
৫) সকালের দিকে জঙ্গিপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার এক্সপ্রেস ট্রেন। যাতে দিনের দিন ফিরে আসতে পারে এলাকার মানুষ।
৬) আজিমগঞ্জ থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত ডাবল লাইন ও বৈদ্যুতিকীকরণ। ৭) রঘুনাথগঞ্জ শহরে টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র।

কান্দি
১) চৌরীগাছা-সাঁইথিয়া ভায়া কান্দি রেলপথের লাইন পাতার কাজ চালু করা হোক, চান এলাকার মানুষ।
২) ফরাক্কা থেকে হাওড়া ভায়া কাটোয়া নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবি রয়েছে।
৩) রাতের দিকে সাঁইথিয়া ও সালার স্টেশন থেকে রেল যাত্রীদের নিয়ে কান্দি এলাকার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেল বাসের দাবি।
৪) বহরমপুর স্টেশনে ডর্মিটরির আসন বাড়াতে হবে।
৫) খাগড়াঘাট স্টেশনে ডর্মিটরি চালু করতে হবে, দাবি মানুষের।

নবদ্বীপ
১) নবদ্বীপ-পুরী এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি (২০০৯ সালে তত্‌কালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব তাঁর শেষ রেল বাজেটে নবদ্বীপ-পুরী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ঘোষণা করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ট্রেন চালু হয়নি।)।
২) রাতের দিকে আরও ১টি মালদহ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতে হবে।
৩) মালদহ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে কামরা বাড়াতে হবে।
৪) সকালের দিকে কাটোয়া থেকে সরাসরি শিয়ালদহ স্টেশন ভায়া নবদ্বীপ হয়ে যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেন চালু করতে হবে।
৫) বিষ্ণুপুর হল্ট স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনে পরিণত করতে হবে। ৬) নবদ্বীপ ধাম স্টেশনকে মডেল স্টেশন করতে হবে।

করিমপুর
১) কৃষ্ণনগর-করিমপুর রুটে লাইন পাতার কাজ শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব ট্রেন চালু করতে হবে।

এক্সপ্রেস ট্রেনের পথ চেয়ে জঙ্গিপুর
ভাগীরথী ও হাজারদুয়ারির মতো দু-দুটি এক্সপ্রেস পেয়েছে লালগোলা। সেই মতোই জঙ্গিপুর থেকে একই দিনে কলকাতা গিয়ে ফিরে আসার একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি দীর্ঘদিনের। প্রণব মুখোপাধ্যায় জঙ্গিপুরের সাংসদ থাকাকালীন বহুবার তাঁর কাছে এই দাবি জানিয়েছেন মানুষ। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। কংগ্রেস শিবিরের দাবি, এই রেল বাজেটে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে জঙ্গিপুরবাসী দেখবে এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখ। দুই মাস আগে জঙ্গিপুর স্টেশনে দলীয় কর্মীদের এক সভায় অধীরবাবু আশ্বাস দিয়েছিলেন ধুলিয়ান থেকে জঙ্গিপুর হয়ে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হবে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ট্রেনটি ধুলিয়ান থেকে সকালে ছেড়ে রাতে আবার ফিরে আসবে। মঙ্গলবারের রেল বাজেটে তাই নতুন ট্রেন পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে জঙ্গিপুরের কংগ্রেস মহল। অবশ্য এক প্রকার নিশ্চিত মঙ্গলবারের বাজেট জঙ্গিপুরের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। কংগ্রেসের বিধায়ক আখরুজ্জামান বলেন, ‘‘রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ধুলিয়ান থেকে নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর বিষয়টি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। জঙ্গিপুরবাসী হিসাবে আশা করছি মঙ্গলবারের রেল বাজেটে এই ট্রেন চালুর ঘোষণা থাকবে।’’ আরএসপি’র জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জানে আলম মিঞা বলেন, ‘‘মাস খানেক থেকে শোনা যাচ্ছে জঙ্গিপুরে নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর সম্ভবনার কথা।” জঙ্গিপুর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি শ্যামল সাহা বলেন, ‘‘জঙ্গিপুর মহকুমা বাণিজ্যে বেশ অগ্রসর। অথচ কলকাতায় যাওয়ার জন্য কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন নেই।’’ সুতির কংগ্রেস বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের কথায়, ‘‘অধীরবাবুর সঙ্গে একাধিকবার এই নিয়ে কথা হয়েছে। মঙ্গলবার রেল বাজেটে জঙ্গিপুর নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন পাবে বলে আমার বিশ্বাস’’ কংগ্রেসের পুর কাউন্সিলর বিকাশ নন্দ বলেন, ‘‘অধীরবাবু আশ্বাস দিয়েছেন জঙ্গিপুরে নতুন ট্রেন চালুর। সেই দিকেই চেয়ে সকলে।’’



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.