সন্তোষে শেষ চার অনিশ্চিত বাংলার
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্জাব ৪ (সজ্জনদীপ, প্রেমকুমার পেনাল্টি-সহ ২, আফতাব)
বাংলা ৩ (জগন্নাথ, দীপেন্দু, নবীন) |
নবীন হেলার পেনাল্টি নষ্ট। গোলকিপার অর্ণবের তিনটি বিশ্রী গোল হজম। নিট ফল, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হেরে শেষ চারে যাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যর বাংলা দলের। শেষ চারে পৌঁছানোর পথটা এখন দীপেন্দু বিশ্বাসদের কাছে খুবই কঠিন।
অঙ্কটা এ রকম— পরের ম্যাচে মণিপুরের বিরুদ্ধে অন্তত চার গোলে জিততেই হবে বাংলাকে। শুধু তাই নয়, কর্নাটকের কাছে পঞ্জাবকে হারতে হবে। তবেই পরের পর্বে খেলার ছাড়পত্র পাবে বাংলা। দীপেন্দুদের কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যর গলাতেও হতাশা। কুইলন থেকে ফোনে বললেন, “আমাদের জেতার ওপর এখন সবটা নির্ভর করছে না। পঞ্জাবকেও হারতে হবে।” বাংলার অধিনায়ক দীপেন্দুও চিন্তিত। বললেন, “লড়াইটা খুব কঠিন হয়ে গেল।”
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই যদি নবীন হেলা পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট না করতেন, তবে গল্পটা অন্য রকম হতেই পারত। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ এগিয়ে যায় পঞ্জাব। বাংলাও অবশ্য প্রথম ৪৫ মিনিট গোলের অনেক সুযোগই পেয়েছিল। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন নবীনরা। বিরতির পর খেলার রাশ পুরোটাই বাংলার হাতে ছিল। দীপেন্দু নামার পর চাপ বাড়ায় বাংলা। জগন্নাথ সানা আর দীপেন্দু ব্যবধান কমালেও গোলকিপারের ভুলে আবারও ব্যবধান বাড়ায় পঞ্জাব। যে জন্য ম্যাচের শেষের দিকে দীপেন্দুর অসাধারণ পাস থেকে নবীন হেলার গোলেও আর শেষ রক্ষা হয়নি।
বাংলাকে এই কঠিন অবস্থায় ফেলার জন্য দায়ী অর্ণব আর নবীনই। কোচ মনোরঞ্জন অন্তত তাই বলছেন। “এই ম্যাচটা আমরা ৪-১-এ জিততে পারতাম। কিন্তু তিনটে বাজে গোল খেয়েছে অর্ণব। আর নবীন পেনাল্টি মিস না করলে হয়তো স্কোর লাইনটা অন্য রকম হত।” কিন্তু দীপেন্দুর মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারকে পঞ্জাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেন শুরু থেকে নামানো হল না? দীপেন্দু গোল করেছেন, করিয়েছেন। কোচের যুক্তি, “দীপেন্দু পুরো ৯০ মিনিট খেলার মতো ফিট নয়। ওকে সঠিক সময়েই নামানো হয়েছে।” |