অফ ব্রেক আছে, দুসরাও। ক্যারম বলও হাতে। পাশাপাশি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঝুলিতে আরও একটা অস্ত্র আছে, যেটা এই অফস্পিনারকে সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে চলেছে।
মগজাস্ত্র। বলছেন অশ্বিনের কোচ সুনীল সুব্রহ্মণ্যম। চিপকে চতুর্থ দিন অশ্বিনের আর একটা ম্যাজিক্যাল শো দেখার পর সোমবার যিনি বলছিলেন, “প্রতিভা থাকলেই হয় না। একটা পরিশ্রমী মগজও দরকার। তা হলেই সাফল্যটা আসে। অশ্বিন থিঙ্কিং স্পিনার। বল করার সময় মাথাটা কাজে লাগায়। চেন্নাইয়ের পিচ কী ধরনের, ও খুব তাড়াতাড়ি বুঝে নিতে পেরেছিল।”
প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত পাঁচ। প্রথম ইনিংসের পরই নিজের স্পেলটা কোচকে উৎসর্গ করেছিলেন অশ্বিন। এর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ছাড়া সিরিজে সে ভাবে সফল হননি। তার পর কি ছাত্রকে বিশেষ টিপস দিয়েছিলেন? সুনীলের জবাব, “ডেলিভারি ছাড়ার সময় ওর পায়ের নড়াচড়ায় একটু সমস্যা হচ্ছিল। ক্রিজে ওর শরীরের অ্যাঙ্গল আর পজিশন একটু বদলে দিই। বিভিন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে বল করতে করতে এই ধরনের সমস্যা মাঝে মাঝেই দেখা দেয়। ঠিক সময় ত্রুটিগুলো শুধরে দেওয়াই আসল।”
দুটো ইনিংসেই ছাত্রের স্পেল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন। এবং মনে করেন না, দ্বিতীয় ইনিংসে পিচের সাহায্য খুব বেশি পেয়েছেন অশ্বিন। “আপনি যদি ওর দু’ ইনিংসের দু’টো স্পেল দেখেন, তা হলে বুঝবেন ও খুব আলাদা কিছু করেনি। নিখুঁত লাইন-লেংথে বল করেছে, অফস্টাম্প আক্রমণ করেছে, লুজ বল করেনি। ডেলিভারিতে বেশি বৈচিত্র আনতে যায়নি। শুধু স্পেলের বিভিন্ন সময়ে পেসে বৈচিত্র এনেছে। এখানে দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট স্লো হয়ে গিয়েছে। এ সব উইকেটে ব্যাটসম্যানকে আউট করা সব সময় সহজ হয় না।”
সামনে আরও তিনটে টেস্ট। কী মনে হচ্ছে? জবাব, “নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদে বল করাটা অশ্বিন উপভোগ করেছিল। মোহালিতে বাউন্স থাকবে আর দিল্লির পিচ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। মনে হয় লাইন-লেংথটা ঠিক রাখলে গোটা সিরিজে ভাল করবে।” তবে তার পরই কোচের সতর্কবাণী, “তা বলে অশ্বিনের কাছ থেকে প্রতিবারই গাদা গাদা উইকেট প্রত্যাশা করবেন না। এতে ওর উপর চাপ বেড়ে যাবে।”
|