|
|
|
|
সিজার লিস্ট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ কোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নারায়ণগড়ে তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় এ বার সিজার লিস্ট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। মেদিনীপুরের সিজেএম কল্লোল দাস সোমবার এই নির্দেশ দেন।
তৃণমূল কর্মী উপেন খাটুয়াকে খুনের ঘটনায় গত শনিবার সিপিএম কর্মী রমেশচন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন ধৃতকে দু’দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। এ দিন পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে রমেশবাবুকে ফের আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী জয়দীপ মহাপাত্র জামিনের আবেদন জানান। সরকারি আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব জামিনের বিরোধিতা করে জানান, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতের দেখানো এক জায়গা থেকে পুলিশ একটি রক্তমাখা লাঠি উদ্ধার করেছে। ওই লাঠি দিয়েই খুন করা হয় উপেন খাটুয়াকে। পুলিশ সিজার লিস্টও আদালতে জমা দেয়। এই সিজার লিস্ট ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, রমেশবাবুকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়নি। নারায়ণগড় থানায় রাখা হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় একটি কাগজে তাঁকে সই করতে বাধ্য করা হয়। এরপরই সিজার লিস্ট নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন সিজেএম। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৮ মার্চ। ওই দিন সিআই এই সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগড়ের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়াবনি গ্রামে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ বাধে জমিতে চাষ করা নিয়ে। উভয়পক্ষের ১২ জন জখন হন। আহত তৃণমূল কর্মী উপেন খাটুয়াকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় উপেনবাবু। সিপিএমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। প্রধান অভিযুক্ত রমেশবাবুকে পুলিশ ধরছে না বলেও শাসকদল উষ্মা প্রকাশ করে। এরপরই নারায়ণগড় থানার ওসি সুজন রায়কে ‘ক্লোজ’ করা হয়। শনিবার ভোরে বর্ধমানের মঙ্গলকোট থেকে রমেশবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি সিপিএমের নারায়ণগড় লোকাল কমিটির সদস্য। সংঘর্ষে জখম হয়ে তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মঙ্গলকোটে এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। |
|
|
|
|
|