জঞ্জালে ঢাকছে শহর
ঞ্জাল ফেলার জায়গা খুঁজে বার করতে পারেননি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য জমি চেয়ে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। নিরুপায় হয়ে সাফাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় ময়নাগুড়ি শহর জঞ্জালে মুখ ঢেকেছে। বেড়েছে দূষণ। শহরের কদর্য দশা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল। কেন ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা হবে না প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
শহরের জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েতের তরফে কেনা হয়েছিল দুটি ভ্যান। অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয় সাফাই কর্মী। গত বছর জুলাই মাস থেকে কাজও শুরু হয়। কিন্তু নিকাশি নালা সহ বিভিন্ন এলাকার জঞ্জাল বাইরে ফেলতে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তারা বিপাকে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে সাফাই কর্মীদের ফিরে যেতে হয়। কয়েকবার ওই ঘটনার পরে নভেম্বর মাসে কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। এর পর থেকে শহর জুড়ে বাড়তে থাকে দূষণের সমস্যা। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে নিকাশি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সবই নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দ রায় বলেন, “পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কিন্তু পঞ্চায়েতের পক্ষে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হয়েছে। জঞ্জাল ফেলার জায়গা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত সাফাই সম্ভব হচ্ছে না।” কিন্তু ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সমস্যার কথা জানানো হলেও গত দেড় মাসের মধ্যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে কোনও বৈঠক হয়নি। অথচ শহরে দূষণের সমস্যা বেড়ে চলেছে। নিকাশি নালা থেকে উপচে পড়া পচা জলকাদায় ভরে গিয়েছে বাজার। বিভিন্ন দোকান ও হোটেলের বর্জ্য জমা হচ্ছে নদীতে। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বজরংলাল হীরাউত বলেন, “বাজার ও শহরের রাস্তা জুড়ে জঞ্জালের ছড়াছড়ি। প্রশাসনের কর্তাদের কাছে কয়েকবার ডাম্পিং গ্রাইন্ডের ব্যবস্থা করার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও কিছু হল না।” একই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও। ময়নাগুড়ি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ঘোষাল বলেন, “প্রশাসনের কর্তারা কেন যে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না বুঝতে পারছি না।” ব্লক প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানান, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য কয়েকবার জমি দেখা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির জন্য তা সম্ভব হয়নি। ময়নাগুড়ির যুগ্ম বিডিও সমরেশ রায় বলেন, “সম্প্রতি ওই বিষয়ে বৈঠক হয়নি এটা ঠিক। কিন্তু কয়েক দফায় জমি দেখা হয়েছে। সবখানে আপত্তি উঠেছে। ফের নতুন জমি খোঁজা হচ্ছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.