পর্যটক টানতে কোচবিহারের রসিকবিল পর্যটন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। ইতিমধ্যে পৌনে এক কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটির’ কাছে পাঠানো হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে পাঠানো ওই প্রকল্পে রসিকবিলে পাখিরালয় ও পাইথন রেসকিউ সেন্টার গড়ে তোলার প্রস্তাব রয়েছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “রসিকবিলকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। সেন্ট্রাল জু অথরিটির অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ রাইচেংমারি, বোচামারি ও নলবোনা নামে তিনটি বড় জলাভূমি। যা একসঙ্গে রসিকবিল নামে পরিচিত। ১৬০ হেক্টর এলাকা বিস্তৃত ওই জলাশয়ে প্রতি বছর শীতে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। বছরের অন্য সময় পাখির দেখা মেলে না। ওই সময় পর্যটকদের হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। নতুন প্রকল্পে জলাশয়ে যেন বছরভর পাখি থাকে তেমন পরিবেশ তৈরির উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রসিকবিল চত্বরের কচ্ছপ পার্কের বিরাট জলাশয়কে ঘিরে প্রায় ১ হেক্টর এলাকা জুড়ে পাখিরালয় তৈরির প্রস্তাব রয়েছে প্রকল্পে। বনকর্তারা জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী জলাশয়টিকে চারদিকে তারের জাল দিয়ে ঘরের মত ঘিরে ফেলা হবে। জলে স্বাচ্ছন্দ্য এমন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জলাশয়ে রাখা হবে। জলাশয়ের উপরে থাকবে ঝুলন্ত সেত। পর্যটকরা ওই সেতু ধরে এগোলে পাখি দেখার সুযোগ পাবেন। সেখানে বছরের যে কোনও সময় পাখি দেখার সুযোগ থাকবে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও থাকবে একটি পাইথন রেসকিউ সেন্টার। চিতাবাঘ উদ্ধার কেন্দ্রের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে।
|
বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হল। সোমবার কেশপুর ব্লকের বাঘাশোল বিট অফিস থেকে খাসজঙ্গল ৪২৪ বন সুরক্ষা কমিটির ৫২৯ জন সদস্যের হাতে ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৩৮ টাকা তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক সদস্য ১২৮২ টাকা করে পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জঙ্গল এলাকার সর্বত্রই এখন যৌথ বন সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। জঙ্গল কাটার সময় যে কাঠ বিক্রি করা হয় তার ৭৫ শতাংশ অর্থ পায় বন দফতর। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দেওয়া হয় বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদের। ২০১০-১১ সালে খাসজঙ্গল ৪২৪ বন সুরক্ষা কমিটির এলাকায় জঙ্গল কাটা হয়েছে। সোমবার সেই টাকা সদস্যদের দেওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার চড়কা-জামিরা-আমশোলা বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের অর্থ দেওয়া হবে। ২০০৯-১০ আর্থিক বছরের এই টাকা আগে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তীর অভিযোগ, “সিপিএম এতদিন এই টাকা আত্মসাৎ করত।” সিপিএম অভিযোগ মানেনি। বাঘাশোলের বিট অফিসার অশোক দে বলেন, “আমি ৩ বছর এখানে রয়েছি। এই সময়ে যে পরিমাণ জঙ্গল কাটা হয়েছে, তার প্রাপ্য অর্থ কমিটির সদস্যদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
|
|
আপন নীড়ে
|
সিউড়িতে দুর্গা টুনটুনি । ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
|
|
পর্যটকদের নাগালের মধ্যেই বাইসনের পাল। চাপড়ামারিতে সন্দীপ পালের তোলা ছবি। |
|
|