শিক্ষার বহু মাপকাঠিতেই পশ্চিমবঙ্গ সর্বভারতীয় গড়ের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
সেই অবস্থা থেকে উঠে আসার কাজটা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তার জন্য সময় লাগবে।
কিন্তু একটা চেষ্টা অন্তত শুরু হয়েছে। সরকার ঠিক পথে হাঁটছে। অভিরূপ সরকার |
পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-সম্ভাবনা নিয়ে অনেকেই হতাশ। তাঁদের বক্তব্য, সরকার উদ্যোগী হয়ে বৃহৎ শিল্পপতিদের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছেন না বলেই রাজ্যে শিল্প আসছে না। এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট তর্কের অবকাশ আছে। এখানে সেই তর্কে যাব না। কেবল এই মতের প্রবক্তাদের একটি কথা সবিনয় জানাই। শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের যে ভূমিকা তাঁরা দরকারি মনে করছেন, অর্থশাস্ত্রে তার সমর্থন পাওয়া দুষ্কর। বেসরকারি উদ্যোগের চালিকাশক্তি হবে বাজার আর সরকারি টাকায় ইস্কুল-কলেজ-হাসপাতাল-রাস্তাঘাট ইত্যাদি সামাজিক পরিকাঠামো তৈরি হবে, এটাই অর্থশাস্ত্রের অভিজ্ঞান। সরকার বেসরকারি উদ্যোগে নাক গলাবে না, এই সাধারণ নিয়মের অন্যথা যে একেবারে নেই তা নয়। কিন্তু সেটা নিতান্তই বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট প্রয়োজনে। কখনওই তা সাধারণ নিয়ম নয়।
কিন্তু সে প্রশ্ন থাক। বরং প্রশ্ন তোলা যাক, যে-সব কাজ সরকারের অবশ্যই করার কথা, পশ্চিমবঙ্গে সে-সব কাজ সরকার করছে কি? শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিকাঠামো ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক কাজ সরকারের করার কথা, এ সব কাজের ‘পজিটিভ এক্সটারনালিটি’ অপরিসীম, অর্থাৎ এগুলির পরোক্ষ সুফল পাচ্ছেন অনেক মানুষ। সরকারের যথার্থ মূল্যায়ন করতে হলে এই সমস্ত কাজের মূল্যায়নই করা দরকার। সব কাজের মূল্যায়ন অবশ্য এই স্বল্প পরিসরে সম্ভব নয়। আমরা এখানে শুধুমাত্র প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন করব নতুন সরকার এখন পর্যন্ত এই শিক্ষাক্ষেত্রে কী কী করতে পেরেছে, কী পারেনি। গোড়াতে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষার সাম্প্রতিক অবস্থা সম্বন্ধে একটা মোটামুটি ধারণা করে নেওয়া দরকার।
নতুন দিল্লির ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল শিক্ষার ওপর একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে চোখ বোলালে দেখা যাবে, কিছু কিছু মানদণ্ডের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল শিক্ষার মান ভারতীয় গড়ের কাছাকাছি, আবার কিছু কিছু নিরিখে বেশ খানিকটা তলায়। সব মিলিয়ে স্কুল শিক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান সারা ভারত গড়ের নীচেই। রিপোর্ট থেকে কয়েকটা পরিসংখ্যান দিয়ে চিত্রটা পরিষ্কার করা যাক। পরিসংখ্যানগুলো ২০১০-১১ সালের। |
এগিয়ে যাওয়ার দৌড়। বাম-জমানায় শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া
পশ্চিমবঙ্গকে নতুন দিশা দেখাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী? |
ভারতীয় গড়ের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে ইস্কুলের সংখ্যা বেশি না কম? পরিসংখ্যান বলছে, ছয় থেকে এগারো বছর বয়সি প্রত্যেক হাজার জন শিশুর জন্য পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক ইস্কুল দশটি, সারা ভারত গড়ও তাই। কিন্তু এগারো থেকে চোদ্দ বছর বয়সের প্রত্যেক হাজার জন শিশুর জন্য সারা ভারতে যেখানে আটটি উচ্চ প্রাথমিক ইস্কুল, পশ্চিমবঙ্গে সেখানে মাত্র তিনটি। এর কারণ, সারা ভারতে প্রতি একশোটি প্রাথমিক ইস্কুলের জন্য রয়েছে সাতচল্লিশটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় আর পশ্চিমবঙ্গে প্রতি একশোটি প্রাথমিক ইস্কুল পিছু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কুড়িরও কম। এই অনুপাত ভারতের সমস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে নিম্নতম। আমাদের ঠিক উপরে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিম, যেখানে প্রতি একশোটি প্রাথমিক ইস্কুল পিছু উচ্চ প্রাথমিক ইস্কুল রয়েছে যথাক্রমে আটাশ এবং সাঁইত্রিশটি। এর ফলে সারা ভারতে যেখানে প্রাথমিক ইস্কুলের ৮১.৬২ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পড়তে যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে মাত্র ৭২.৮ শতাংশ। একটু অন্য ভাবে বলা যেতে পারে, উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে যথেষ্ট ইস্কুল তৈরি হয়নি, যা প্রাথমিক স্তরে হয়েছে।
যদিও সারা ভারতে প্রতি দশ বর্গকিলোমিটার পিছু প্রাইমারি ইস্কুলের সংখ্যা মাত্র ৩.৪৫টি, জনসংখ্যা পিছু প্রাথমিক ইস্কুল সারা ভারত গড়ের সঙ্গে সমান করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে প্রতি দশ বর্গকিলোমিটারে ৮.৬৯টি প্রাইমারি স্কুল খুলতে হয়েছে। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক স্তরে জনসংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়তি ইস্কুল তৈরির কাজটা এত দিন হয়নি। বস্তুত, দশ বর্গকিলোমিটার পিছু উচ্চ প্রাথমিক ইস্কুলের চিত্রটা ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গে মোটামুটি এক, সারা ভারতে ১.৬৩টি, পশ্চিমবঙ্গে ১.৬৯টি। কিন্তু জনসংখ্যার ঘনত্ব যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে ঢের বেশি, তাই জনসংখ্যার নিরিখে দেখলে এখানে উচ্চ প্রাথমিক ইস্কুলের সংখ্যা অনেক কম। জনসংখ্যার চাপ আমাদের সমস্যা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ ছাড়া অন্য সমস্যাও আছে। পশ্চিমবঙ্গের ইস্কুলগুলোতে শিক্ষক প্রতি গড়ে তিরিশ জন ছাত্র, সারা ভারতেও তাই। কিন্তু সারা ভারতে যেখানে স্কুল শিক্ষকদের ৭৮.৬৬ শতাংশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মাত্র ৫২.৬৬ শতাংশ স্কুল শিক্ষক পেশাদারি প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। আবার, ইস্কুল প্রতি ক্লাসঘরের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গেও ৩.২, সারা ভারতেও তাই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মাত্র ২৮.৮৪ শতাংশ ইস্কুলে বিদ্যুৎ এসেছে, যেখানে সারা ভারতে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে ৪৩.১৪ শতাংশ ইস্কুলে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষায় কম্পিউটার ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা এখনও দুঃখজনক ভাবে সীমিত। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইস্কুলের উচ্চতর শ্রেণি পর্যন্ত টিকে থাকার প্রবণতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি। কিন্তু এই প্রবণতা অনেকটাই ইস্কুলে অপেক্ষাকৃত উঁচু ক্লাসের মেয়েদের জন্য আলাদা শৌচালয় আছে কিনা তার ওপর নির্ভর করে। এ দিক থেকেও পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে। সারা ভারতে যেখানে ৬০.২৮ শতাংশ ইস্কুলে মেয়েদের আলাদা শৌচালয় রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অনুপাতটা ৪৮.৮১ শতাংশ।
পরিসংখ্যানগুলো সবই বাম আমলের। প্রশ্ন হল, নতুন সরকার এসে এই সব সমস্যার কতটা সমাধান করতে পারছে? সব থেকে বড় সমস্যা, রাজ্যে জনসংখ্যার ঘনত্বের নিরিখে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভাব। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমান সরকার একটা বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্কুল বিভাগের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানতে পারছি, ২০১২-১৩ আর্থিক বর্ষে ৩৯৫১০ জন নতুন শিক্ষক শুধুমাত্র নতুন তৈরি হওয়া উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জন্য নেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ নতুন সরকার এই পদগুলি তৈরি করে স্কুল শিক্ষার বাজেটে তার জন্য বরাদ্দ রেখেছে। আলোচনার গোড়ায় যে রিপোর্টটি আমরা উল্লেখ করেছিলাম, সেখানে দেখতে পাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গে স্কুল পিছু শিক্ষকের সংখ্যা ২০১০-১১-তে ছিল গড়ে ৫.৫। যদি ধরে নিই ভবিষ্যতে সংখ্যাটা বেড়ে ৬ হবে, তা হলে সরল পাটিগণিতের নিয়মে ৬৫৮৫টি নতুন উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকার শিক্ষকের ব্যবস্থা করে রাখছে। অর্থাৎ, এই বছরে ৬৫৮৫টি নতুন উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। উল্লিখিত রিপোর্টটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০০২-০৩ থেকে ২০১০-১১ এই নয় বছরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন উচ্চ প্রাথমিক ইস্কুল তৈরি হয়েছে ৩২৯১টি। নতুন সরকার এসেই যে সংখ্যাটা দ্বিগুণ করে দেওয়ার কথা ভাবছে, তাকে উন্নয়নমূলক ভাবনা বলতে হবে বইকি।
এখানে একটা কথা পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার। আমরা কিন্তু এক বারও বলছি না যে, কয়েক দিনের মধ্যে ৬৫৮৫টি নতুন উচ্চ প্রাথমিক ইস্কুল খুলে যাবে। শিক্ষক নিয়োগের টাকাটা বাজেটে রাখা হয়েছে বটে, কিন্তু পরীক্ষা-ইন্টারভিউ ইত্যাদি আবশ্যিক ধাপগুলো পেরিয়ে লোক-নিয়োগ করতে করতে খানিকটা সময় লেগে যাবার কথা। তা ছাড়া, নিয়োগ নিয়ে কিছু আইনি সমস্যাও আছে। সরকারের এমন শত্রুর অভাব নেই, যারা সরকারকে অপদস্থ করার জন্য রাজ্যের কিংবা কর্মপ্রার্থী বেকার যুবক-যুবতীদের স্বার্থ অনায়াসে বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। তারাই মামলা-মোকদ্দমা করে লোক-নিয়োগে পিছিয়ে দেবার চেষ্টা করবে।
আরও প্রশ্ন আছে। ইস্কুল খোলার খরচ দু’ধরনের। কিছু খরচ এককালীন, যার মধ্যে ইস্কুলবাড়ি তৈরির খরচ প্রধান। আর কিছু আছে প্রত্যেক মাসের খরচ, যার মধ্যে প্রধান হল শিক্ষকদের মাইনে। বস্তুত, দ্বিতীয় ধরনের খরচ বহন করা বেশি কষ্টসাপেক্ষ, যেহেতু তা নতুন নিয়োগ করা শিক্ষকরা যত দিন চাকরি করবেন, তত দিন বহন করতে হবে। সরকার সেই খরচের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ইস্কুলবাড়ি তৈরির খরচটা আসবে কোথা থেকে? স্কুল বিভাগের দেওয়া তথ্য থেকে জানতে পারছি, ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে ৩৮৭টি নতুন উচ্চ প্রাইমারি ইস্কুল তৈরি করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। অর্থাৎ এর জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তা হলে বাকি স্কুলগুলো কী করে হবে? এখানে বলা দরকার, স্পেশাল বি আর জি এফ (ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন্স গ্রান্ট ফান্ড)-এর যে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা রাজ্যে আসছে এবং যার কিছুটা ইতিমধ্যেই এসে গেছে, তার একটা বড় অংশ নতুন ইস্কুল তৈরির কাজে লাগবে। আগামী বছরগুলোতেও নতুন ইস্কুল তৈরির বরাদ্দ থাকবে। এ ছাড়া সর্বশিক্ষা অভিযানের জন্য বরাদ্দ টাকাও আছে।
ছিদ্রান্বেষীরা বলবেন, সেই তো কেন্দ্রের পাঠানো বি আর জি এফ বা সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা দিয়ে ইস্কুল তৈরি করতে হচ্ছে, তা হলে আর রাজ্যের কৃতিত্ব কোথায়? এর উত্তরে দুটো কথা বলার আছে। এক, এই টাকা কেন্দ্র সহজে পাঠায়নি। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিনের পর দিন দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দরাদরি করতে হয়েছে। সি পি এম যদি এই কষ্টটা করত, তা হলে স্কুলবাড়ি তৈরির টাকা তাদের আমলেই আসতে পারত। দুই, কেন্দ্র তো ভিন রাজ্য থেকে কর সংগ্রহ করে পশ্চিমবঙ্গকে দিচ্ছে না, এই রাজ্য থেকে যে-কেন্দ্রীয় কর সংগ্রহীত হচ্ছে, তার একটা অংশ রাজ্যকে ফেরত দিচ্ছে মাত্র। অতএব এই টাকায় রাজ্যবাসীর পূর্ণ অধিকার আছে। টাকাটা ঠিক জায়গায় খরচ করার কৃতিত্বটা অবশ্য রাজ্য সরকারের।
ইস্কুল তৈরির প্রকল্প ছাড়াও আরও অনেক প্রকল্প ২০১২-১৩-তে স্কুল দফতর গ্রহণ করেছে। বি আর জি এফ-এর টাকায় রাজ্যের অনুন্নত অঞ্চলে ৯১টি এবং আলাদা করে জঙ্গলমহলে রাজ্য সরকারের নিজস্ব টাকায় আরও ৩৪টি পঞ্চাশ-শয্যাবিশিষ্ট মেয়েদের হস্টেল তৈরি হচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন ইস্কুলে ৪৬২৪টি মেয়েদের শৌচালয় তৈরি হচ্ছে, ৫২৭০৩টি ইস্কুলে তৈরি হচ্ছে নতুন লাইব্রেরি, ইস্কুলে-ইস্কুলে ১৬৭৭৯টি নতুন ক্লাসরুম তৈরি হচ্ছে, ইত্যাদি, ইত্যাদি (পুরো তালিকা দেওয়া সম্ভব হল না)।
এর মানে কিন্তু এই নয়, কয়েক বছরের মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আসলে সমস্যার পরিধিটা বিরাট। বিশেষত এই কারণে যে, শুরুটাই হচ্ছে পিছিয়ে থেকে। কাজ অনেক প্রত্যেক ইস্কুলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, গ্রামের ইস্কুলে কম্পিউটার নিয়ে যাওয়া এবং সবার উপরে ইস্কুলগুলোতে লেখাপড়ার মান উন্নত করা। এর জন্য সময় লাগবে, তবে সরকার ঠিক পথেই হাঁটছে।
|
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিউট, কলকাতায় অর্থনীতির শিক্ষক |