|
|
|
|
কপ্টার দুর্নীতিতে জড়াল ত্যাগীর নাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগী-সহ ১১ জনের নাম উঠে এল।
এর আগে মাত্র এক বারই কোনও সামরিক বাহিনীর প্রধানের নাম সিবিআই তদন্তে এসেছে। ১২ বছর আগে বারাক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার সময় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্তের মামলায় প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান সুশীলকুমারের নাম ওঠে। ভিভিআইপি-দের যাতায়াতের জন্য ৩৬০০ কোটি টাকার হেলিকপ্টার কেনার সময় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এস পি ত্যাগী ছাড়াও তাঁর পিসতুতো ভাই, রাজীব, সঞ্জীব ও সন্দীপ ত্যাগীর নামও রয়েছে। এছাড়াও ফিনমেকানিকা সংস্থার চেয়ারম্যান গিউসেপ্পে ওরসি, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড সংস্থার প্রাক্তন সিইও ব্রুনো স্প্যাগনোলিনির নামও রয়েছে। যাদের হাত ঘুরে ভারতে ঘুষের টাকা এসেছে, সেই ইউরোপের ব্যবসায়ী কার্লো গারোসা, ক্রিশ্চিয়ান মিশে, গুইডো হাসখের নাম রয়েছে। যে সব ভারতীয় সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে ঘুষের টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই সংস্থাগুলির সঙ্গে জড়িত গৌতম খৈতান, প্রবীণ বক্সির নামও সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এই ১১ জন ছাড়াও ফিনমেকানিকা, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড, ভারতীয় সংস্থা আইডিএস ইনফোটেক এবং এরোম্যাট্রিক্স-এর নামেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই হেলিকপ্টার বেচাকেনায় দুর্নীতির তদন্ত করছে ইতালির পুলিশও। সিবিআই সূত্রের খবর, তাদের যে অফিসার মিলানে গিয়েছিলেন, তিনি ইতালির তদন্তকারী অফিসারদের কাছে বেশ কিছু নথিপত্র জোগাড় করতে পেরেছেন। তার ভিত্তিতেই এই সব ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হেলিকপ্টার কেনার সময় ব্রিটিশ সংস্থা অগুস্তা
ওয়েস্টল্যান্ড যাতে বরাত পায়, তার জন্য কয়েক জন প্রভাব খাটিয়েছিল। ইতালীয় সংস্থা ফিনমেকানিকা এর জন্য মধ্যস্থতাকারীদের কমিশন-ও দিয়েছিল। মধ্যস্থকারীদের দু’জন নিজেদের কমিশনের থেকে বেশ কয়েক জন ভারতীয়কেও টাকা দেয়। মরিশাস, তিউনিশিয়া হয়ে সেই টাকা ভারতে ঢোকে। |
|
|
|
|
|