|
|
|
|
রাজস্ব আদায় কমছে, তদন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
পঞ্চায়েত সমিতি’র ট্রাক টার্মিনাসের রাজস্ব আদায় কম হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামল কোচবিহার মহকুমা প্রশাসন। খাগরাবাড়ি এলাকায় ২০০২-০৩ আর্থিক বছরে কোচবিহার-২ পঞ্চায়েত সমিতির ট্রাক টার্মিনাসটি চালু হয়। পাঁচ একর জমির তৈরি টার্মিনাসে ৩০০ ট্রাক দাঁড়ানোর জায়গা রয়েছে। ট্রাক পিছু ৫ টাকা করে পার্কিং ফি নেওয়া হয়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১১-১২ আর্থিক বছরে টার্মিনাস পার্কিং ফি বাবদ রাজস্ব খাতে সবমিলিয়ে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা তহবিলে জমা পড়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে জমা পড়েছে ২ লক্ষ টাকা। সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির কিছু গাফিলতির জন্য রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠক ডাকা হয়েছে।”প্রশাসনিক সূত্রের খবর, টার্মিনাস চালুর পর থেকেই দুই জন কর্মীকে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছর থেকে ওই কর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ওই কর্মীদের পরিবর্তেয ট্রাক মালিক সমিতির কর্তাদের একাংশ রাজস্ব আদায়ের টাকা জমা রেখে তা দীর্ঘদিন বাদে নির্দিষ্ট খাতে জমা দিতেন। বহু ক্ষেত্রে রসিদ ছাড়াই রাজস্ব আদায় করা হত বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নজরে আসার পর কোচবিহার ২ ব্লকের বিডিওর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান সদর মহকুমা শাসক। তার পরে রাজস্ব জমার পরিমাণ কম হচ্ছে বলে প্রশাসনের কর্তারা ধারণা জন্মায়।
প্রশাসনের কয়েকজন কর্তা জানান, টার্মিনাসে ৩০০ ট্রাক দাঁড়ানোর জায়গা আছে। দৈনিক গড়ে ১০০ ট্রাক হলেও ৫ টাকা করে পার্কিং ফি হিসাবে মাসে ১৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে বছরে গড়ে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা রাজস্ব জমা পড়ার কথা। চার বছরে টাকার পরিমাণ দাঁড়ানো উচিৎ ৭ লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু টাকা জমা পড়েছে পৌণে চার লক্ষ টাকার মত। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অন্নদা রায় শুধু বলেন, “রাজস্ব আদায় যে কম হয়েছে সেটা আমাদেরও মনে হচ্ছে। আমরাও খোঁজখবর নিচ্ছি।” ট্রাক মালিক সমিতির তরফে অবশ্য রাজস্ব আদায় নিয়ে স্বচ্ছতার দাবি করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, টার্মিনাসে ২০০ কম ট্রাক দাঁড়ায়। তার মধ্যে যেসব ট্রাক ভাড়া পেত তাঁরাই ৫ টাকা করে ফি দিয়েছে। আর পঞ্চায়েত সমিতি টার্মিনাসের সংস্কার, রক্ষনাবেক্ষণের কাজ না করায় আদায়ের টাকা দিয়ে আলো, জল, শৌচাগারের কাজ করা হয়েছে। বাকি টাকা পঞ্চায়েত সমিতিতে জমা করা হয়েছে। ট্রাক মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মান্না দে বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরাও রাজস্ব আদায়ের হিসাব লিখে রাখতেন। ফলে অস্বচ্ছতার কোনও জায়গা নেই। নানা প্রশ্ন ওঠায় ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা আর কিছু দেখভাল করছি না।” |
|
|
|
|
|