প্রতিবাদে রেল অবরোধ |
পরিকাঠামো উন্নয়নের তালিকায় নেই গঙ্গারামপুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলেন বাসিন্দারা। রবিবার গঙ্গারামপুর রেল উন্নয়ন কমিটির ডাকে দিনভর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। ওই আন্দোলনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও সামিল হন। রেল উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক অজয় দাস বলেন, “ডিআরএম এবং রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে আগে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে দাবি মেনে প্রস্তাবিত গঙ্গারামপুর স্টেশনকে ডি-শ্রেণির স্টেশনে উন্নীত করা না হলে আন্দোলন শুরু হবে।” এদিন সকাল ৯টা থেকে স্টেশনে বিক্ষোভ পালনের পাশাপাশি শিলিগুড়িগামী ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম অরুণ শর্মা জানান, “গঙ্গারামপুর সহ ৩টি হল্ট স্টেশনকে ডি শ্রেণির স্টেশনে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়। অন্য দুটি স্টেশন উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ফের নতুন করে গঙ্গারামপুর স্টেশন উন্নয়নে প্রস্তাব পাঠানো হবে।” |
|
গঙ্গারামপুরে অবরোধ। রবিবার অমিত মোহান্তের তোলা ছবি। |
দক্ষিণ দিনাজপুরের দ্বিতীয় মহকুমা শহর গঙ্গারামপুর রেল স্টেশন হল্ট-স্টেশন। স্টেশনকে ডি শ্রেণিতে উন্নীত করার দাবি শহরবাসীর দীর্ঘদিনের। ২০০৪ সালে বালুরঘাট-একলাখি রেলপথ চালু হওয়ার পর থেকে অবহেলার শিকার গঙ্গারামপুর। স্টেশন প্ল্যাটফর্ম এতটাই নীচু অন্যের সাহায্য নিয়ে বয়স্কদের ট্রেনে উঠতে হয়। নেই পর্যাপ্ত শেড। চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদারকে দিয়ে চলে টিকিট কাউন্টার। অবশেষে নাগরিকদের দাবি মেনে সংশ্লিষ্ট উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ জেলার গঙ্গারামপুরের সঙ্গে আরও দুটি স্টেশনকে ডি শ্রেণিভুক্ত স্টেশন গড়ার প্রস্তাব গত নভেম্বর মাসে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দেন। বাকি স্টেশন দুটি হল তপনের রামপুর এবং বংশীহারীর দেওতলা স্টেশন। পরিকাঠামো উন্নতিতে ১৭ কোটি টাকার খসরা প্রকল্পও পাঠানো হয়। সম্প্রতি গঙ্গারামপুর বাদ দিয়ে অন্য দুটি স্টেশন উন্নয়ন খাতে ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রেল মন্ত্রক। রেল সূত্রের খবর, ডি-ক্যাটাগরি স্টেশনে উন্নীত হলে যাত্রীশেড, ট্রেনের উচ্চতার সঙ্গে সমতা রেখে প্লাটফর্ম ও ডবল লাইন তৈরি সহ যাত্রীপরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নতি হবে। দূরপাল্লার ট্রেনে উঠতে যাত্রীরা সময় পাবেন। পাশাপাশি একজন স্টেশন ম্যানেজার নিযুক্ত হবেন। থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, “পুরসভার অধীন জেলার অন্যতম বাণিজ্য শহর গঙ্গারামপুরকে গুরুত্ব দিচ্ছে না রেল কর্তারা।” |
|