নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
এক ব্যবসায়ীর থেকে সোনার গয়না ভর্তি ব্যাগ চুরি করে বাইকে চেপে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ল এক দুস্কৃতী। উদ্ধার হয়েছে গয়না ভর্তি ব্যাগটিও। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের চেকো বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে বাসিন্দারা পুলিশের জিপ আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এলাকায় চুরি, খুন সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম লেগেই রয়েছে। রাত বারোটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার থানার আইসি সুদীপ ভট্টাচার্যের আশ্বাসে পুলিশের জিপটি ঘেরাও মুক্ত হয়।
এলাকার এক সোনার দোকানের মালিক পুলক রায় শনিবার রাত ৯টা নাগাদ বাইকে চেপে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। বাইকের বাক্সে ছিল একটি ব্যাগ। সোনার দোকানের অদূরেই একটি দোকানের সামনে মোটর সাইকেল রেখে ক্যাশ কার্ড কিনতে ঢোকেন। সে সময়েই একটি বাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী এসে বাইকে লাগানো বাক্সের তালা ভেঙে সোনার গয়নার ব্যাগটি তুলে নিয়ে পালাতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায়। চলন্ত বাইক থেকে এক জনকে ব্যাগ সহ টেনে নামিয়েছে বাসিন্দারা, অন্য জন পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুস্কৃতীর নাম গোপী দাস। ওড়িশার বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে এলাকার কারও যোগাযোগ ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের আইসি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “জেরায় জানা গেছে চক্রে আরও ৮ জন রয়েছে। চার মাস আগে তারা শিলিগুড়িতে আসে। সেখান থেকে কোচবিহার হয়ে তারা আলিপুরদুয়ারে আসেন বলে ধৃতেরা জানিয়েছে।
পুলকবাবু বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতেই পারি নি। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা এগিয়ে না এলে পথে বসতে হত।” এই ঘটনার প্রতিবাদে দুষ্কৃতী দলের সকলকে গ্রেফতার ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের জিপ ঘিরে শুরু করেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী বিপ্লব দাস, প্রকাশ রায়, রঞ্জিত অধিকারীদের অভিযোগ। গত তিন মাসে পর পর চারটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এখনও একটি ঘটনার তদন্তেরও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।” তাঁদের অভিযোগ, সব কিছু জানা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্রিয় নয়। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |