নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
এক ট্রাক উর্বর মাটির দাম ৫০ টাকা। বিনা পয়সায় ট্রাক বোঝাই করে মাটি বাইরে পাঠানোর অভিযোগ ছিল। এ ভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চাষের মাঠ ধ্বংস করা হলেও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় নানা মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে ভূমি ও রাজস্ব দফতর নড়েচড়ে বসতে মালবাজার মহকুমার মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বন্ধ হল মাটি চুরি। এক সপ্তাহের অভিযানে আদায় হল দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। মালবাজারের ভূমি ও রাজস্ব আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী বলেন, “সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে কয়েকটি ঠিকাদার সংস্থা মাটি তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। গোপনে অভিযান চালিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। অভিযান চলবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৌলানি পঞ্চায়েতের বিদুরেরডাঙা মৌজা জুড়ে মাটি চুরি চলছে। জমি মালিকের হাতে ৫০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে ট্রাক বোঝাই করে মাটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থা। অভিযোগ, উর্বর মাটি তুলে নেওয়ায় চাষের জমি নষ্ট হলেও এতদিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেটা হলে অনেক জমি রক্ষা করা সম্ভব হত। মাটি চুরির ওই ঘটনা অস্বীকার করেননি মৌলানির গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহাদেব রায়। তিনি বলেন, “সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে বেশ কিছু দিন থেকে ট্রাক বোঝাই করে বাইরে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিদুরেরডাঙা মৌজা এলাকায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি নিয়ম মেনে মাটি নেওয়া হোক এটাই চাই।”
ভূমি ও রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে মাটি চুরির নানা তথ্য জোগাড় করে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় অভিযান। গত শনিবার পর্যন্ত ওই অভিযান চলে। আদায় করা হয় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।
মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাটি জলপাইগুড়ি জেলায় অন্যতম কৃষিতে এগিয়ে থাকা এলাকা। এখান থেকে কেমন করে ট্রাক বোঝাই করে মাটি বাইরে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন ভূমি ও রাজস্ব দফতরের কর্তারা। দফতরের মালবাজার মহকুমা আধিকারিক বলেন, “অন্য এলাকাতে থেকেও মাটি চুরির অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় সড়কের ধারে নিচু নয়ানজুলি ভরাট করে দখল করার কাজ চলছে এমনও খবর মিলেছে। দফতরের গোচরে আসা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |