|
প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়। |
অল্প বয়স থেকেই গান শেখার সৌভাগ্য হয়েছিল বিখ্যাত মাসিমার কোলে বসেই। বড় হলে সেই মাসিমার হাত ধরেই প্রথম জনসমক্ষে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেছিল মুখচোরা ছেলেটি। তাও আবার দেশের বাইরে বাংলাদেশের শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে।
বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বোনপো প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি শান্তিনিকেতনে। মাসিমার সাহচর্যে থেকে ছোট থেকেই রবীন্দ্রসঙ্গীত শ্রোতাদের মন জয় করে আসছেন। বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনের এই প্রাক্তন ছাত্র মাসিমা ছাড়াও গানের শিক্ষা নিয়েছেন গোরা সর্বাধিকারী এবং সোমা রায়ের কাছে। প্রিয়মবাবু বর্তমানে প্রসার ভারতীর রবীন্দ্রসঙ্গীতের ‘বি-হাই’ শিল্পী। ফলে আকাশবাণী ও দূরদর্শনে নিয়মিতই তাঁর গান শোনা যায়। এ ছাড়াও অন্যান্য বৈদ্যুতিন মাধ্যমে এবং ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় সঙ্গীতানুষ্ঠানে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রিয়মবাবু রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন নৃত্যনাট্যে অভিনয়ও করেছেন। এমনকী রবীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি নৃত্যনাট্য ও গীতনাট্য পরিচালনাও করেছেন। |
“সাঁজের কথা কতকটা দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের সমসাময়িক। কিন্তু পরে যাঁদের রূপকথা প্রকাশিত হয়েছে, উপেন্দ্রকিশোরকে বাদ দিলে তাঁদের মধ্যে শিবরতন মিত্র খ্যাতি লাভ করেন অধিক।” খগেন্দ্রনাথ মিত্র, ‘শতাব্দীর শিশুসাহিত্য’।
১৯১৯ সালে প্রথম প্রকাশ হওয়া সেই দুষ্প্রাপ্য রূপকথা সংকলন ‘সাঁজের কথা’ ইতিহাসের পাতা খুঁড়ে বের করে আনল বীরভূমের ‘রাঢ় প্রকাশনী’। বিশিষ্ট সাহিত্যসমালোচক শিবরতন মিত্রের এই বইটি সদ্য শেষ হওয়া কলকাতা বইমেলায় নতুন করে প্রকাশ করেছে রাঢ়। ‘সাঁজের কথা’য় শিবরতন মিত্র সংগৃহীত তিনটি লোককথা সংকলিত হয়েছে। এই সংকলনটির প্রথম সংস্করণে উত্কৃষ্ট মানের অলঙ্করণ ছিল। ভাল কথা হল, ‘রাঢ়’-এর সংস্করণেও তা অবিকৃত রাখা হয়েছে।
বীরভূমের কৃতী সন্তান শিবরতন মিত্রের দেশের বাড়ি ছিল খয়রাশোলের বড়রা গ্রামে। বীরভূম জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে শিবরতনবাবু পড়তে যান প্রেসিডেন্সিতে। সেখানে সুনামের সঙ্গে আইএ পাশ করবার পর তিনি স্নাতক হয়েছিলেন জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ কলেজ থেকে। পরে লেখালেখির কাজে নিজেকে মনোনিবেশ করেন শিবরতনবাবু। তিনি এক সময় রবীন্দ্র-স্নেহধন্য বিখ্যাত বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘মানসী’র অন্যতম সম্পাদকও ছিলেন। উল্লেখযোগ্য তথ্য হল, শিবরতনবাবুর ছেলে হলেন বীরভূমের ইতিহাসকার গৌরীহর মিত্র। |
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করল রঘুনাথপুরের সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রয়াস। ২১ ফেব্রুয়ারি রঘুনাথপুর ব্লক অফিসের কাছে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে গানে, কবিতায় ভাষা শহিদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করলেন শিল্পীরা। মাতৃভাষার জন্য শহিদদের আত্মত্যাগ ও আজকের প্রেক্ষাপটে এই দিনটির যথার্থতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কবি দেবাশিস সরখেল ও রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস। |
বাঁকুড়ার পলাশতলায় অভিজিত্ সিংহের তোলা ছবি। |
বাঁকুড়া শহরের ‘ছোট্ট তুলি’র উদ্যোগে রবিবার বাঁকুড়া পলাশতলা মহাশ্মশান চত্বরে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। একশোর বেশি সংখ্যক খুদে শিল্পী সেখানে ছবি আঁকে।
|
বাঁকুড়ার গুনিয়াদা উচ্চবিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তি, গান, নাচ পরিবেশন করে। নাটকও মঞ্চস্থ হয়।
|
বিষ্ণুপুরের বলাকা নৃত্য গোষ্ঠীর উদ্যোগে শনিবার যদুভট্ট মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল কত্থক সন্ধ্যা। উদ্যোক্তা নৃত্য গোষ্ঠীর প্রায় ১০০ জন ছাত্রী যোগ দেয়।
|
সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বুধবার মানবাজারে আজাদ হিন্দ ক্লাবের সদস্যেরা ‘নরকের ফুল’ নামে নাটক মঞ্চস্থ করেন। প্রচুর দর্শক হাজির হয়েছিলেন।
|
চাতক সাহিত্য গোষ্ঠীর উদ্যোগে বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙায় ভাষা দিবস পালিত হল বৃহস্পতিবার। আলোচনা চক্রের সঙ্গে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাহিত্যিকেরা।
|
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশ্বজিত্ রায়চৌধুরী। |