তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে থানা ভাঙচুরের ঘটনার পর বনগাঁ মহকুমায় রাজনৈতিক জমি দখলের লড়াই এখন তুঙ্গে। বনগাঁ থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ জন ধরা পড়লেও এখনও ফেরার অনেকে। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্পষ্টতই অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনা যাতে কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরাতে না পারে তার জন্য অবশ্য চেষ্টার ক্রুটি করছেন না তৃণমূল নেতারা। বনগাঁ থানায় তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বহিরাগতেরা ভাঙচুর করেছে এই অভিযোগে রবিবার মিছিল করে তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় রাখালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। শেষ হয় পেট্রপোল সীমান্তে। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত, ছয়ঘরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি চন্দন ঘোষ প্রমুখ তৃণমূল নেতা। মিছিল থেকে ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান পরিতোষ অধিকারিকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “চোর প্রধানকে ও তৃণমূলের পতাকা নিয়ে যারা থানা ভাঙচুর করেছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে।” |
বসে নেই সিপিএমও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থানা ভাঙচুরের ইস্যুকে সামনে রেখে এলাকায় নিজেদের দুর্বল সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছেন স্থানীয় সিপিএম নেতারা। রবিবার ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় সাইকেল মিছিল করে সিপিএম। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রধানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বনগাঁ থানা ভাঙচুরের ঘটনায় অনেক অভিযুক্ত এখনও এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরে বেরাচ্ছে। এ দিন তৃণমূল এলাকায় যে মিছিল করেছে সেখানেও অভিযুক্তেরা ছিল বলে দাবি সিপিএমের। যদিও স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে খবর, থানা ভাঙচুরের ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। যদিও ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছয়ঘরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সন্তোষ দাস ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, “পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়েই স্মারকলিপি দিতে যাওয়া হয়েছিল। তাও পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না কেন? পুলিশেরও শাস্তি হওয়া উচিত।” |