সীমান্তে চোরাচালান রুখতে বিএসএফ-বিজিবি’র উদ্যোগ নতুন নয়। তবে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা এলাকায় চোরাচালান-পাচারকারীদের আনাগোনা ক্রমশ বেড়ে উঠলেও তা নিয়ে দু-দেশের সীমান্ত প্রহরীদের মধ্যে তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। শনিবার বাংলাদেশের শিবগঞ্জ থানার সিংনগর গ্রামে এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনা হল। নিমতিতা সীমান্তে যা প্রথম বলেই দাবি করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। দু’দেশের সম্পর্ক জোরদার করতে স্থানীয় মানুষের মধ্যে খেলাধুলো কিংবা সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের উপরেই এ ব্যাপারে জোর দিতে চায় দু-পক্ষ। |
প্রীতিম্যাচের দুই সেনা অফিসারকে নিয়ে জনতার উল্লাস। ছবি-অকপ্রভ চট্টোপাধ্যায় |
বিএসএফের ২০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কোম্পানি অফিসার অরবিন্দ ঘিরডিয়াল বলেন, “পূর্বে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কিন্তু মাস আটেক ধরে দফায় দফায় আলোচনায় সেই পরিস্থিতি আপাতত নেই। চোরাচালান সামান্য হলেও কমেছে। সীমান্তকে পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে এ দিন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের নবম ব্যাটেলিয়নের কোম্পানি অফিসার মনজুর নুর আলমের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে।” মনজুর জানান, আশা করায় যায় আলোচনাই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাবে। এ দিন আলোচনার পর উভয় বাহিনীর মধ্যে প্রীতি ভলিবল খেলা হয়। দু-দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের এই বরফ গলানোর প্রক্রিয়ায় খুশি স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় চাষি গোলাম মোস্তাফা বলেন, “নাবাবগঞ্জ এলাকায় প্রচুর আম হয়। ব্যবসার আদান প্রদান হলে তা বাংলাদেশে রফতানি করা যাবে। চোরাচালান কমবে। উভয় দেশের মানুষের যাতাযাতও স্বাভাবিক হবে।” |