|
|
|
|
লক্ষ্য পঞ্চায়েত, একই দিনে বৈঠক সিপিএম-ছাত্র-যুবর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রেখে ঘর গোছানো শুরু করল সিপিএম। নির্দেশ পেয়ে ময়দানে নেমেছে দলের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন। রবিবার সিপিএমের জেলা কমিটির বৈঠক হয়। এই দিনই ডিওয়াইএফ এবং এসএফআইয়েরও জেলা কমিটির বৈঠক হয়। শেষ কবে এমন হয়েছে, মনে করতে পারছেন না জেলা সিপিএমের নেতারা। দলীয় সূত্রে খবর, তিনটি বৈঠকেই জেলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উঠেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গও। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্র-যুবদের নিয়ে কর্মশালা হবে মেদিনীপুরে। থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তথা জেলা সম্পাদক দীপক সরকার।
তবে সিপিএম থেকে ডিওয়াইএফ-এসএফআই, কেউই এই বৈঠকের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মানতে নারাজ। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “রবিবার আমাদের দলের বার্ষিক বৈঠক হয়েছে। সদস্য পুনর্নবীকরণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এটা পুরোপুরি সাংগঠনিক ব্যাপার।” আর পঞ্চায়েত? দীপকবাবুর জবাব, “পঞ্চায়েত নিয়ে তো আমরা রোজই মিটিং করছি!” ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ বলেন, “রবিবার আমাদের রুটিন বৈঠক হয়েছে।” আর এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার বক্তব্য, “বর্ধিত জেলা কমিটির বৈঠকে কিছু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” সিপিএমের জেলা কমিটির বৈঠক হয় কৃষক ভবনে। ডিওয়াইএফের বৈঠক হয় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে। আর এসএফআইয়ের বৈঠক হয় মেদিনীপুরের এক সভাগৃহে। ছাত্র-যুব কর্মীদের নিয়ে কর্মশালাটি হবে আগামী ১০ মার্চ, মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ হলে। এ দিন ডিওয়াইএফ এবং এসএফআই, দুই সংগঠনের বৈঠকেই জানানো হয়, কর্মশালাটি গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিম মেদিনীপুর ছিল ‘লালদুর্গ’। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এ জেলায় ভাল ফল করে সিপিএম। তবে রাজ্যে পালাবদলের পর অবস্থা পাল্টেছে। সর্বত্র প্রভাব বেড়েছে তৃণমূলের। এই অবস্থায় আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘কঠিন লড়াই’ হতে যাচ্ছে বলেই মত জেলা সিপিএম নেতৃত্বের। এরমধ্যে আবার পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। এ জেলার ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এ বার মোট সদস্য সংখ্যা ৩৮৪৬। ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৯০টি প্রধানের পদই সংরক্ষিত। প্রধানের পদে তফসিলি জাতি-উপজাতি, ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস বা মহিলারা বসবেন। সংরক্ষিত আসনের জন্য প্রার্থী খোঁজাও দ্রুত সম্ভব নয়। তাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংরক্ষণের তালিকা দেখে প্রার্থী খোঁজার কাজ শুরু করেছে। পিছিয়ে নেই সিপিএমও। সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম নিয়ে দলের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “আমরা জানি, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে আক্রমণ তত বাড়বে। আক্রমণ যত তীব্র হোক, সর্বশক্তি দিয়ে আমরা আমাদের ঘাঁটিকে রক্ষা করব।” |
|
|
|
|
|