|
|
|
|
অসংগঠিত শ্রমিকদের দলে টানতে তৎপর তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় অসংগঠিত শ্রমিকদের সংগঠিত করার উপর জোর দিচ্ছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির উদ্যোগে শনিবার এক সভার আয়োজন করা হয় মেদিনীপুরে। শহরের বিদ্যাসাগর হলে এই সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকেরা যোগ দেন। ছিলেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান প্রণব বসু।
সভার সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে অবশ্য আইএনটিটিইউসির নেতৃত্ব মানতে নারাজ। তৃণমূলের জেলা সভাপতির কথায়, “অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প রয়েছে। অনেকেই এই সব প্রকল্পের কথা জানেন না। তা জানানোর জন্যই সভার আয়োজন।” যদিও দলেরই এক নেতা মানছেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে অসংগঠিত শ্রমিকদের সমর্থন পেতেই তাঁদের সংগঠিত করার চেষ্টা চলছে। শ্রমিকদের নিয়ে আগামী দিনেও কিছু কর্মসূচি হবে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। যেখানে অসংগঠিত শ্রমিকেরা কাজ করেন। খড়্গপুরে শিল্পতালুক রয়েছে। খড়্গপুর গ্রামীণ ও তার আশপাশে কয়েক হাজার মানুষ কারখানায় কাজ করেন। কেউ ঠিকাদারের অধীনে, কেউ বা চুক্তির ভিত্তিতে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এঁদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়েছে বামেরা। যে জন্যই খড়্গপুর গ্রামীণ ও তার আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছিল সিপিএম। রাজ্যে পালাবদলের পর ওই অংশের সমর্থন পেতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল। তাই নির্বাচনের বেশ কিছুটা আগে থেকেই শুরু হয়েছে অসংগঠিত শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজ। তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, বামফ্রন্ট সরকার উপেক্ষিত করেছে। তবে রাজ্যের নতুন সরকার শ্রমিকদের জন্য উদার। সে জন্য তৎপরতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে।
তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতিরও বক্তব্য, “দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট সরকার গরিব মানুষকে শুধু শোষণ করেছে। মেহনতি সর্বহারা মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। শ্রমিকেরা কর্মচ্যুত হয়েছে। আমাদের সরকার শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে।” তাঁর কথায়, “কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিতে মানুষের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। মানুষের কাছে দলের বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। এমন সভা-সম্মেলনের মাধ্যমেই শ্রমিকদের সচেতন করা যায়।” |
|
|
|
|
|