|
|
|
|
চোর সন্দেহে গণপ্রহার, মৃত্যু হল কিশোরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গণপটুনিতে কিশোর মৃত্যুর ঘটনায় ছয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার গভীর রাতে। পুলিশ জানায়, গুয়াহাটির রুক্মিণীগাঁও এলাকায় একটি মুদিখানা থেকে মাল চুরির সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এক শিশু ও এক কিশোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এর মধ্যে ১৪ বছরের বিক্রম সোরেনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মাথায় বাঁশের আঘাতে লুটিয়ে পড়ে সে। তার সঙ্গী আট বছরের শিশুটিকেও গাছে বেঁধে চলে মারধর। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিক্রমকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বিক্রম ওই এলাকাতেই দিগন্ত কলিতা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত। দিগন্তবাবু কিশোর হত্যার ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গণপ্রহারে কিশোরের মৃত্যুর এই ঘটনার তীব্র প্রদিবাদ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। জেলাশাসক আশুতোষ অগ্নিহোত্রী বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও অমানবিক।” পুলিশ এই ঘটনায় এখন অবধি ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সকলেই, মুদিখানার দোকানের পাশে একটি হোটেলের কর্মী।
মুক্তিপণ দাবি। পাঁচ বনকর্মীকে মুক্তির বিনিময়ে এক কোটি টাকা দাবি করল জঙ্গিরা। পুলিশ ও বনকর্তারা জানান, ত্রিপুরার জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটির (বিশ্ব মোহন) শাখা মঙ্গলবার মামিত জেলার ডাম্পা অভয়ারণ্যে হানা দিয়ে পাঁচ বনকর্মীকে অপহরণ করে। পাঁচ বনকর্মী নিখোঁজ হওয়ায় ঘটনা নিয়ে প্রথমে স্থানীয় ব্রু জঙ্গিদের সন্দেহ করেছিল পুলিশ। কিন্তু এ দিন, এনএলএফটির তরফে ডাম্পা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তাকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়ার পরে ধোঁয়াশা কাটল। পুলিশ, সিআইডি, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ যৌথভাবে উদ্ধারকাজে নেমেছে। সাহায্য চাওয়া হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের। মিজো জিরলাই পাওল ও সেন্ট্রাল ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অপহৃতদের অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
পথে মিলল চারটি দেহ। ফের সংঘর্ষের সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাক্সা। আজ সকালে, বড়োভূমির অন্তর্গত বাক্সায়, চার বড়ো যুবকের মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে যায় আততায়ীরা। নিহতদের নাম হেমন্ত বড়ো, ফুংখা বড়ো, রাজু বড়ো ও বিজয় বড়ো। পুলিশ জানায়, ভোরবেলা, গেরুয়া আশ্রম গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তায় চারটি ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেন। দেহগুলি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ। হাঙ্গামার আশঙ্কায় সেনা ও আধা সেনাকেও সতর্ক করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|