|
|
|
|
মাদক পাচার করতে গিয়ে ধৃত সেনার মুখপাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সর্ষের মধ্যেই মিলল ভূতের সন্ধান। কয়েক কোটি টাকা দামের মাদক পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন দুই সেনা ও ইন্ডিগো বিমানসংস্থার এক নিরাপত্তা আধিকারিক। আজ ইম্ফল থেকে থৌবাল যাওয়ার পথে, পুলিশ কম্যান্ডোদের হাতে তাঁরা ধরা পড়েন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইন্ডিগো বিমানে এফিড্রিন জাতীয় প্রচুর ট্যাবলেট এসেছে এবং তা মোরে সীমান্তের দিকে যাচ্ছে খবর পেয়ে পাল্লেল এলাকায় পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি নিচ্ছিল। তখনই লাল বাতি জ্বালিয়ে পাঁচটি গাড়ির সেনা কনভয় চেক পোস্টে আসে। পুলিশ কনভয় থামাবার চেষ্টা করলে, ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশনের মুখপাত্র কর্নেল অজয় চৌধুরী নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে চলে যান। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ কনভয়ের পিছনে ধাওয়া করে। সশস্ত্র কম্যান্ডোরা রাস্তায় পজিশন নিয়ে নেন। গুলি চালাবার হুমকি দিয়ে কনভয় থামানো হয়। |
|
বাজেয়াপ্ত হওয়া অবৈধ মাদক। মণিপুরের চান্দেলে। ছবি: পি টি আই |
লালবাতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়িগুলি থেকে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার রেসপিফেড, হিলকোল্ড-টি, পলিফেড-সি, ট্রেপ ও অ্যাকটিডিন ট্যাবলেট মিলেছে। থৌবালের এসপি এ কে ঝালজিত ও সেনা-গোয়েন্দা কর্তাদের সামনে ব্যাগগুলি খোলা হয়। পুলিশ জানায়, তিনটি গাড়িতে সেনাবাহিনীর ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। কর্নেল চৌধুরী ছাড়াও গ্রেফতার হন ১৬৫ নং ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের সেপাই আর কে বাবলু, ইন্ডিগোর সহকারী ম্যানেজার (নিরাপত্তা) গাইরংবাম ব্রজেন্দ্র সিংহ এবং ইম্ফলের তিন যুবক।
গত এক বছর যাবৎ, বিমানবন্দর ও ইম্ফল শহর থেকে দফায় দফায় এফিড্রিন জাতীয় ট্যাবলেট মিলছিল। সর্দির চলতি ওষুধ এফিড্রিন থেকে মায়ানমার ও চিনে মাদক এবং ওষুধ তৈরি হয়। এ দেশে, যে ওষুধ পাতা প্রতি ৪ থেকে ৬ টাকা দাম পড়ে, মোরে সীমান্ত পার হলেও তার দাম পৌঁছায় পাতা প্রতি ৩০০ টাকায়। তাই, পুলিশ, রাজনীতিক ও প্রশাসনের অনেকেই এই ওষুধ পাচার চক্রে
জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। গত বছর, সাইবন থেকে ৩ নং রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন ও মণিপুর রাইফেল্সের ৮ জন জওয়ানকে বিপুল পরিমাণ এফেড্রিন-সহ ধরা হয়। তারপরেও বিমানের মাধ্যমে ওষুধ আসা ও সীমান্ত দিয়ে ওষুধ পাচার বন্ধ করা যায়নি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি এফিড্রিন পাচারের তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। |
|
|
|
|
|