ফের শিশুচুরি-চক্রের হদিস মিলেছে শহরে। হাসপাতালের ভিড়ে-ঠাসা প্রসূতি ওয়ার্ডের পরে এ বার নিশানা রাজপথের অরক্ষিত ফুটপাথ। শনিবার গভীর রাতে উত্তর কলকাতার ফড়িয়াপুকুরে বিধান সরণির ফুটপাথে ঘুমন্ত এক মহিলার কোলের কাছ থেকে তাঁর সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দ্রুত তদন্ত চালিয়ে পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। শিশুটিরও হদিস মিলেছে। কিন্তু এই চক্রটির পিছনে কারা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। সম্প্রতি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও কয়েকটি শিশুচুরির ঘটনা ঘটে। প্রসূতি ওয়ার্ডে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের ভিড়ে নবজাতকদের কোলে নিয়ে আদর করার ছুতোয় বাচ্চাদের চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালে সক্রিয় শিশুচুরির চক্রটির সঙ্গে ফুটপাথের অভিযুক্তদের যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতের ঘটনায় ধৃতেরা হল গোপাল কুর্মি, অশোক হেলা এবং সীমা সাউ। পুলিশের দাবি, সীমা তাঁর নিঃসন্তান বোনের জন্যই বাচ্চাটিকে ২৫ হাজার টাকায় গোপাল-অশোকদের থেকে কিনেছিলেন। বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটিকে রবিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১০ দিনের একরত্তি শিশুটির মা-বাবা নাজমা বিবি ও রাজু খানের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
কী ভাবে চুরি করা হয়েছিল বাচ্চাটিকে? পুলিশের দাবি, গভীর রাতে ফুটপাথে শায়িত দম্পতির পাশ থেকে শিশুটিকে সরিয়ে নিয়ে যায় গোপাল ও অশোকই। আদতে রাজারহাটের বাসিন্দা গোপাল সিঁথির ফুলবাগানের কাছে থেকে ব্যবসা করে। অশোক ডাক বিভাগের কর্মী। কাদের মাধ্যমে তারা শিশুটির কথা জানতে পারল, পুলিশ তা-ও খতিয়ে দেখছে। আর জি কর হাসপাতালের শিশু-চুরির ঘটনাগুলির সঙ্গে ফড়িয়াপুকুরের ফুটপাথের ঘটনাটির যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখতে একযোগে তদন্ত করছে শ্যামপুকুর ও টালা থানার পুলিশ। |