এক নাবালিকার বিয়ে রুখলো পুলিশ। বর্ধমান শহরের কানাইনাটশাল এলাকার ঘটনা। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল রায়নগরের বাসিন্দা এক ফলবিক্রেতার। বিয়ের যাবতীয় বন্দোবস্ত হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে রুখে দেয় পুলিশ। তাদের দাবি, তারা ওই কিশোরী ও তার বাবাকে জেরা করে জানতে পেরেছে পাত্রীর বয়স আঠেরোর কম। তাই বিয়ে রুখে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান থানার এসআই সৈকত মণ্ডল ওই কিশোরীর বাবাকে ওই বিয়ের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করে ছিলেন। তারা ওই কিশোরীর বাবার পেশ করা রেশন কার্ড পরীক্ষা করে জানতে পারেন পাত্রীর বয়স ষোলোর বেশি নয়। তা সত্ত্বেও কিশোরীর বাবা একটি শংসাপত্র দেখিয়ে মেয়ের বয়স আঠেরো বছরের বেশি বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তা বিশ্বাস করেনি। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ওই কিশোরীর বাবাকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাবালিকা হওয়ার আগে ফের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে বিয়ে আটকানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওই নাবালিকার পরিবার। ওই কিশোরীর মা এ দিন বলেন, ‘কত লোকই তো মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে। তাহলে?” তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় আকছার নাবালিকাদের বিয়ে হয়ে যায়। সামান্য পণের বিনিময়ে ‘মেয়ে পার’ করে দেন বাসিন্দারা। কবিতা মুদি নামে এক বাসিন্দা বলেন, “পুলিশ এসে হস্তক্ষেপ করায় বিয়েটা আটকালো, তাতে হয়তো লোকে কিছুটা হলেও সচেতন হবে।” |