পিরামিড তাহরির স্ক্যোয়ার কাকাবাবু
সে এক অদ্ভুত বিমান যাত্রা।
ইজিপ্ট এয়ার-এর বিমানের ইমিগ্রেশন ফর্মে নেফারতিতির ছবি দিয়ে শুরু। তার পর তিন ঘণ্টার গা-হিম করা সৌদি আরবের মরুভূমি, মোজেস, লোহিত সাগর, মক্কা-মদিনা, সুয়েজ খাল-এর ওপর দিয়ে উড়ে এসে তুতেনখামেন, মমিদের দেশ কায়রোতে নামা।
অনায়াসে পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাস চোখের সামনে।
নেমেই চল্লিশ কিলোমিটার দূরে গিজার পিরামিডের পথ ধরা। রাস্তার দু’ ধারে ভগ্নস্তূপ কায়রো। নীল নদ নিজের গতিতে বয়ে চলেছে। ব্রিজ পেরিয়ে ছোট পথ ধরে গিজার সামনে এসে পৌঁছনো। ওখানেই তো শ্যুটিং হচ্ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘মিশর রহস্য’র। পৌঁছেই বোঝা গেল দক্ষযজ্ঞ চলছে। সেদিনের মতো সবে শ্যুটিং শেষ হয়েছে প্রসেনজিতের। কিন্তু স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, নীল মুখোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মারা তখনও শ্যুটিং করছেন পুরোদমে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় রণথম্ভোর ন্যাশনাল পার্কের টুপি পরে মিশরের ক্রু-দের বোঝাচ্ছেন পরের দৃশ্যটা। পুলিশ তাড়া দিচ্ছে শ্যুটিং শেষ করতে। এত সবের মধ্যে বোঝা যাচ্ছে, এক লাফে বাংলা সিনেমা পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসকে সাক্ষী করে যেন অনায়াসে পৌঁছে গেল পরের ধাপে। এ বার মিশরে বাংলা ছবি।
ওয়েলকাম টু কায়রো। 2013 AD।

আপনারা এসেছেন, আমরা ভাগ্যবান
গিজার পিরামিড কমপ্লেক্সে ‘কাকাবাবু’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
শুনতে যতই ভাল লাগুক, মিশর, রামেসিস, তুতেনখামেন ২০১৩-র কায়রোর সঙ্গে ইতিহাস বইয়ের কায়রোর কোনও মিল নেই। একটু হলেও আপনার মোহভঙ্গ হবেই।
ইতিহাস বইতে যে পিরামিডের ছবি থাকে, ডিসকভারি চ্যানেলে তুতেনখামেনের যে সোনার খাটের কথা বলা হয়, সবটাই সত্য। কিন্তু অর্ধসত্য।
কেউ বলে না, পিরামিডের প্রবেশ পথ আমহার্স্ট স্ট্রিটের থেকেও সরু। কেউ বলে না পুরো শহরময় শুধু ধুলো আর ধুলো। কেউ লেখে না পিরামিডে ঢোকার সময় আপনার কালীঘাটের পাণ্ডাদের কথা মনে পড়বেই।
“আমাদের এখানে ঝামেলার পর ট্যুরিস্ট আসা একটু কমে গিয়েছে। আপনারা এসেছেন, আমরা ভাগ্যবান,” ছোট বড় সব রকম আরব মানুষের সেই এক আর্তি।
সেই তাহরির স্ক্যোয়ারের বিপ্লব আর তার পর ফুটবল মাঠে দাঙ্গার
পর ব্যবসা-বাণিজ্য এখানে প্রায় তলানিতে। তাই আজকের কায়রোতে আপনার কারেন্সি কনভার্ট না করলেও চলে। মহাত্মা গাঁধীর জলছাপ দেওয়া ভারতের টাকা থাকলেই হবে। এরা সেটা নিতেও প্রস্তুত।

“ইউ ইন্ডিয়া...অমিতাভ বচ্চন...খুদা গওয়া”
শ্যুটিংয়ের ফাঁকে স্ফিংসের মুখোমুখি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়
যেখানেই শ্যুটিং চলছে ‘মিশর রহস্য’র সেখানেই অবশ্য স্থানীয় লোকজন হাজির। ভারতীয় কোনও ছবির শ্যুটিং হচ্ছে বললে একটাই কথা শুনতে পাবেন ‘ইউ ইন্ডিয়া... অমিতাভ বচ্চন... খুদা গওয়া’।
ইমিগ্রেশন অফিসার থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ দোকানি আজও ভারতীয় হলে কায়রোতে আপনার পাসপোর্টের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিসাটার নাম অমিতাভ বচ্চন। “ওই লোকটার অ্যাপিল নতুন করে বুঝতে পারলাম এখানে এসে। উফ, কী স্টারডম ভদ্রলোকের,” বললেন প্রসেনজিৎ।
অনেক টেকনিশিয়ান এখানে কাজ করছেন যাঁরা কয়েক বছর আগে ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘লাস্ট লিয়র’ ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁদের মোবাইল ক্যামেরাতে রয়েছে তাঁদের সঙ্গে বিগ বি-র ছবি। “আমরা দোকানে কিছু কিনতে গেলে প্রথমে মোবাইলে ওই ছবিটা দেখিয়ে দিচ্ছি। ব্যস, তা হলেই ডিসকাউন্ট শুরু,” বলছিলেন এক টেকনিশিয়ান।
তবে ডিসকাউন্ট নিয়েও আজকের কায়রোতে ঝামেলা কম নেই। যদি ভাবেন স্থানীয় মিশরীয়দের সঙ্গে বাজারে গেলে সে-ই দরদাম করে দেবে আপনার হয়ে, তা হলে সে গুড়ে ‘সাহারা মরুভূমি’র বালি। দোকানিরা তাঁর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেবেন আপনার হয়ে সে-ই কেন দরদাম করে দিচ্ছে এই বলে। “আপনি তো আমাদের লোক, আপনি কেন দরদাম করছেন? যান এখান থেকে। একে বেশি টাকাই দিতে দিন।” সে দিন কায়রোর বাজারে কয়েক বার শুনলাম এই কথাটা।

এত কষ্ট কোনও শ্যুটিং-এ কেউ করেনি
সারা দিন শ্যুটিংয়ের পর আনন্দ plus-এর
জন্য ছবি তুললেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
পিরামিডের সামনে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
ও নীল মুখোপাধ্যায়
“আরে এদের তো টাকা নেই। সবাই মাথা গরম করে। সন্ধেবেলা কোথাও যাওয়ার নেই। আমার সাধারণত শ্যুটিং-এ ডিপ্রেসড লাগে না।
কিন্তু এখানে দশ দিন হয়ে গেল শ্যুটিং করছি, সাংঘাতিক ডিপ্রেসড লাগছে। কিছুই নেই শহরে,” শ্যুটিং-এর পথে যেতে যেতেই বললেন প্রসেনজিৎ। এমনিতে উনি গাড়িতে সামনের সিটে বসেন। কিন্তু সেখানেও তো শান্তি নেই। “এখানে ‘ওয়ান ওয়ে’ বলে কিছু নেই। যে যেখান থেকে পারে গাড়ি নিয়ে চলছে।
আমি তো গাড়িতে বসে শুধু ঠাকুরের নাম জপ করি,” হাসতে হাসতেই বললেন তিনি।
রামেসিস, তুতেনখামেনের সময় কী ছিল তা জানা সম্ভব নয়। ২০১৩তে এই শহরে পুলিশকেও কেউ তোয়াক্কা করে না। কথায় কথায় ইট তুলে পুলিশকে মারতে ছুটছে লোকজন। তার মধ্যে দশ-এগারো বছরের বাচ্চা ছেলেও রয়েছে!
এ সবের জন্যই স্বস্তিকা, নীল, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তরা শ্যুটিং-এর পর আড্ডা জমাতেন রাজেশ-এর ঘরে। সৃজিত তখন মিটিং-এ ব্যস্ত পরের দিনের শ্যুটিং-এর প্ল্যান নিয়ে। রাত আটটার পরে বাইরে যাওয়া মানে বিমা কোম্পানির চিন্তা আপনার চেয়েও বেশি! তার ওপর ভাষার সমস্যা।
“আমার এগারো বছরে প্রায় ষাটটা ছবি করা হয়ে গেল। কিন্তু এত কষ্ট কোনও শ্যুটিং-এ কেউ করেছে আমি দেখিনি। টেকনিশিয়ান, আর্টিস্ট সবাই অমানুষিক খাটছে। কারও শরীরে আর কিছু নেই,” ক্যাটারাক্ট পিরামিড রিসর্ট-এর ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে বলছিলেন স্বস্তিকা।

গর্বিত লাগছে বাঙালি হিসেবে
কাকাবাবু ও সন্তু স্ফিংসের মন্দিরে প্রসেনজিৎ ও আরিয়ান
সত্যি, ভুল বলেননি স্বস্তিকা। সাঁইত্রিশ জনের ইউনিট সকাল ছ’টায় ব্রেকফাস্ট খেয়েই লেগে পড়ছেন শ্যুটিং-এ। দুপুরে কাজের মধ্যে কোনও দিন লাঞ্চে ‘কেএফসি’ তো কোনও দিন ‘ম্যাকডোনাল্ডস’। এসেই শুনলাম সাক্কারা মরুভূমিতে যখন শ্যুটিং চলছিল, ভোর ছ’টার সময় ওখানে পৌঁছে যেত ইউনিট।
“সারা দিন একটা বসার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। কী ভাবে শ্যুটিং করেছি আমি নিজেই জানি। তবে ভাল লাগছে এটা ভেবে যে বাংলা ছবির শ্যুটিং তো হচ্ছে কায়রোতে! কোথাও একটা গর্বিত লাগছে বাঙালি হিসাবে,” বলছিলেন রোদে পুরো ট্যান হয়ে যাওয়া সৃজিত।
একই অবস্থা সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক হালদারের। হোটেলে ফিরে ধুলো ঝাড়তেই সৌমিকের লেগে যাচ্ছে পনেরো মিনিট। সকালের জামা কাপড় দুপুরের মধ্যে আর চেনা যাচ্ছে না। “সত্যি এখানে শ্যুটিং করা সহজ নয়। মনের জোর আর মাথা ঠান্ডা রাখা চাই মিশরে শ্যুটিং করতে হলে,” অ্যারি অ্যালেক্সা প্লাস ক্যামেরায় চোখ রেখে বলছিলেন সৌমিক।
মিশরীয় পোশাকে এক স্থানীয় জুনিয়র আর্টিস্ট পিরামিডের উপরে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
এর মধ্যেই গত শুক্রবার এল মরু ঝড়। শ্যুটিং স্পটে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে পিরামিড ঢাকা পড়ল ঝড়ে। ঝড়ের এত দাপট যে কায়রো শহর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। শীতকালের কুয়াশা ঢাকা কলকাতার মতো অবস্থা মিশরের রাজধানীর। “আমি এত ঝড় কোনও দিন দেখিনি। আমি, রাজেশ আর নীল একে অপরকে ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল উড়ে যাব,” বলছিলেন স্বস্তিকা। মরুঝড়ে সবার মুখই বালিভর্তি। দূরে ক্যামেরা সরাতে বলছেন সৃজিত, সৌমিক। ঝড় এত প্রচণ্ড যে, জিমি জিব থেকে তড়িঘড়ি নামানো হল ক্যামেরা।
এ যেন অন্য ধরনের ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’। “জিমি জিব থেকে না নামালে উড়ে যেত ক্যামেরা,” বলছিলেন নীল। “এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। হোয়াট অ্যান এক্সপিরিয়েন্স,” মরুঝড়ে দাঁড়িয়ে বলছিলেন সৃজিত।

সব ভুলিয়ে দেয় পিরামিড আর স্ফিংস
ক্যানন ফাইভ ডি ক্যামেরা হাতে জিপে ঝুলতে ঝুলতে শ্যুট করছেন সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক হালদার
তবে এত বাধাবিপত্তি সবটাই ভুলিয়ে দেয় ওই গাজা পিরামিডের চত্বর। বাকি শহর নিয়ে মোহভঙ্গ হলেও পিরামিড তো আছে।
কায়রো এয়ারপোর্ট থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে এই পিরামিড চত্বর। তার বাইরে নানা ছোট বড় হোটেল। সকাল আটটায় খুলে যায়, বিকেল চারটের মধ্যে বন্ধ।
পুরো চত্বরে রয়েছে তিনটি পিরামিড আর স্ফিংস-এর সেই জগৎবিখ্যাত মূর্তি। আছে ট্যুরিস্টদের ঘোরানোর জন্য অসংখ্য ঘোড়া আর উট।
শুধু পিরামিড আর স্ফিংসের দিকে তাকিয়েই কাটিয়ে দেওয়া যায় সারা দিন। প্রচুর ট্যুরিস্ট দেখলাম প্রথম পিরামিড দেখে কেঁদেই ফেলছেন। এক জাপানি ট্যুরিস্ট বলছিলেন, তিনি তিরিশ বছর ধরে টাকা জমিয়েছিলেন শুধু পিরামিড দেখার জন্য। তবে রোম্যান্টিসিজমকে বাদ দিলে যদি সত্যি কথাই বলতে হয়, তা হলে বলাই যায় রক্ষণাবেক্ষণ প্রায় কিছুই নেই পিরামিডগুলোর।
স্ফিংসের পায়ের কাছে পড়ে রয়েছে আরবি ভাষায় লেখা লেজ চিপসের প্যাকেট। পিরামিডের গায়ে ‘অরুণ লাভস পিংকি’র মিশরীয় সংস্করণ।
তবে পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসের সামনে এগুলোকে হয়তো ‘আউট অব ফোকাস’ করাই যায়।

স্বস্তিকা খেলেন কোয়েলকে
‘আউট অব ফোকাস’ যেটা করা যায় না, তা হল স্বস্তিকা, নীল, রাজেশ দের আউটিং। শ্যুটিং একদিন তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ার পর সবাই কায়রো গিয়েছিলেন ঘুরতে। হুকা, বিয়ার ছাড়াও সে দিন আরও অনেক কিছুই খাওয়া হল। “আমার খুব ইচ্ছে ছিল র্যাবিট খাওয়ার। সেই মতো অর্ডারও দিলাম। প্লেটেও এল খাবার। চারটে পা দেখলাম।
কী রকম একটা খেতে যেন,” বলছিলেন স্বস্তিকা।
পরে অবশ্য নীল অন্য কথা শোনালেন। “ওটা কোনও মতেই খরগোশ নয়। অনেক গবেষণা করে যেটা আন্দাজ করলাম, ওটা ছিল কোয়েল পাখি। সুতরাং এটুকু বলতেই পারেন, পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসের শহরে স্বস্তিকা খেলেন কোয়েলকে,” চোখ মেরে হাসতে হাসতে রাজেশ এর ঘরে বলছিলেন নীল।
এ রকম অসংখ্য ছোট ছোট মুহূর্ত ছড়িয়ে রয়েছে ‘মিশর রহস্য’-র চোদ্দো দিনের শ্যুটিং-এর ফাঁকে ফাঁকে।
একদিন শ্যুটিং-এর শেষে প্রসেনজিৎ পুরো ইউনিটের জন্য বিয়ার কিনে আনলেন নিজেই।
অন্য দিকে মেক আপ আর্টিস্ট দীপা আর শ্রীরূপকে নিজে হাতে খাইয়ে দিতে দেখলাম স্বস্তিকা আর রাজেশকে। টেকনিশিয়ানদের আবদার মেটালেন রাজেশ হুইস্কি দিয়ে। প্রসেনজিতের টিমের সুভাষ, সঞ্জয় আর পরভেজ ছবি তুলে দিলেন সবার জন্য।
সব টেকনিশিয়ানের জন্য নিজেই বিয়ার কিনছেন
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কায়রোর বাজারে
মরুঝড়ের সময়
ভ্যানিটি ভ্যানে বসে রাজেশ শর্মা
ইন্দ্রনীল এখানে এক অদ্ভুত চরিত্রের মেক আপ নিয়ে রয়েছেন। তাঁর মিশরীয় মেক আপ দেখে তাঁকে চিনতেই পারছিলেন না ইউনিটের লোকজন। তাই নিয়েও চলল হাসাহাসি। সে দিন দেখলাম, সৃজিত ওখানকার জুনিয়র আর্টিস্টদের ইংরাজিতে দৃশ্য বোঝাতে গিয়ে
দুর্দান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়ে, মেজাজ না হারিয়ে নিজেই হাত পা ছুড়ে হেসে ফেললেন।
শ্যুটিংয়ের অবসরে তাহরির স্ক্যোয়ার, কায়রো মিউজিয়ম দেখে ইমোশনাল হয়ে পড়লেন প্রসেনজিৎ।
কিছু দিন আগে একটা অন্য প্রসঙ্গে মিশর যাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, “বাঙালি যা কিপটে, যাবে কি ইজিপ্টে?”
শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে অনেক বার মনে পড়ল কথাটা।
বাঙালি শুধু এলই না, দুর্দান্ত শ্যুটিংও করে গেল আজকের কায়রোতে।
তুতেনখামেন, রামেসিস, নেফারতিতির দেশে ইতিহাস গড়ল কাকাবাবু, সন্তুরা।
ইতিহাস গড়ল বাংলা ছবি।
সময়টা ছিল 2013 AD।

মিশরের টুকিটাকি
• কলকাতা থেকে মিশর আসতে হলে একজনের প্লেনের খরচ আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার টাকা।
• কলকাতা থেকে কাতার এয়ারওয়েজ কী এমিরেটস-এ দোহা অথবা দুবাই পৌঁছে সেখান থেকে সোজা কায়রো। কিংবা মুম্বই পৌঁছে ইজিপ্ট এয়ার-এর সাত ঘণ্টার সরাসরি ফ্লাইটে কায়রো পৌঁছে যাওয়া যাবে।
• এক ইজিপশিয়ান পাউন্ডের মূল্য এখন ভারতীয় মুদ্রায় নয় টাকা। এখানে রাস্তার ধারে কেনাকাটা করার জন্য ভারতীয় টাকাও গ্রহণযোগ্য।
• গিজার পিরামিড ছাড়া কায়রো মিউজিয়াম আর নাইল ক্রুজ ‘মাস্ট সি’-এর তালিকায় পড়ে। পিরামিডের ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ দেখাও এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আগে শহরের বড় রেস্টুরেন্টে ‘বেলি ডান্স’-এর শো হত। কিন্তু এখন তা বন্ধ। তাই ‘বেলি ডান্স’ দেখতে হলে ক্রুজ রাইড আপনাকে নিতেই হবে।
• যাঁদের ধুলোয় অ্যালার্জি আছে তাঁরা অবশ্যই পর্যাপ্ত ওষুধ সঙ্গে আনবেন। ইনহেলার আর নেসাল ড্রপ-ও রাখবেন। মরুভূমির দেশ। তাই ক্রিম অবশ্যই আনবেন।
• খাওদা-দাওয়ার সমস্যা বিশেষ নেই। এখানকার স্থানীয় খাবার ‘তামাইয়া’ মিস করবেন না। কলকাতায় যেমন রোল, এখানে তেমন তামাইয়া।
• ভারত থেকে এলে মোবাইল ফোনে ইন্টারন্যাশনাল রোমিং করালে খরচ অনেক বেশি।
তার থেকে এখানকার লোকাল নম্বর নেওয়া অনেক সস্তা। হাজার টাকায় বিবিএম, ই মেল-ও ব্যবহার করতে পারবেন।

ছবি: ইন্দ্রনীল রায়



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.