একের পর এক ঘটনায় দলের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা। তার উপর সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বাজেটও। এই অবস্থায় দলের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাতে বালিগঞ্জের একটি বাড়িতে ভাইপো অভিষেকের বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানেই নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সৌগত রায়, দীনেশ ত্রিবেদী, মুকুল রায়, বিবেক গুপ্ত, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুলতান আহমেদ ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজির ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও বৈঠকে অবশ্য ছিলেন না ফিরহাদ হাকিম। হঠাৎ এমন বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হলেও দলনেত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি মহলের বক্তব্য, সামনেই কেন্দ্রীয় বাজেট। তার আগে দলের কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্যই এমন বৈঠক। পরে বাইরে এসে মমতাও বলেন, “এমন সুযোগ তো সব সময় আসে না। এখানে এসে সুযোগ পেলাম। সামনেই বাজেট। সাংসদদের সঙ্গে কথা বলে নিলাম।” দলের এক সাংসদের কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সংসদ চলাকালীন অনশনেও বসতে পারি।” তবে তৃণমূলেরই একটি সূত্রের বক্তব্য, সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। এ দিন সে সব নিয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে।
বালিগঞ্জের ওই অনুষ্ঠানে আসার আগে মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রবীণ লেখিকার সঙ্গে নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মমতা।
|
রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব খ্রিস্টানরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মেনে কাজ হচ্ছে না। শনিবার গোবরার শিবতলা মাঠে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটি কাউন্সিলের’ সভায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বক্তারাও ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের ঘোষণা আর বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে বিস্তর ফারাক। এমনকী, ওবিসি শংসাপত্র পেতে গিয়েও নানা ভাবে হয়রান হতে হচ্ছে তাঁদের। সারা ভারত সংখ্যালঘু ও দুর্বলতর শ্রেণি পরিষদের সভাপতি অ্যান্টনি অরুণ বিশ্বাস জানান, বর্তমান সরকার মনে করছে, সংখ্যালঘু বলতে কেবল মুসলিমরাই। খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উন্নয়নের বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অরুণবাবুর কথায়, “আসলে ভোটের জন্য ওরা মুসলিমদের কথা বলছে। কিন্তু আমি অনেক ইমাম এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাঁদের ব্যাপারেও সরকার কেবল প্রতিশ্রতিই দিচ্ছে।” রেভারেন্ড ইমান্যুয়েল সিংহ বলেন, “দাবি পূরণ না হলে এর পরে রাস্তার নেমে তা আদায় করতে হবে।” |