খরচ ছাঁটাইয়ের তেতো ওষুধেও ফল মিলল না। বাধ সাধল বৃদ্ধির ঢিমে গতি আর বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা। যার ‘মাশুল গুনে’ মুডিজের ‘ট্রিপল-এ’ (এএএ) রেটিং খোয়ালো ব্রিটেন। এক ধাপ নেমে তা দাঁড়াল এএ১। রানির দেশের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব। আমেরিকা ও ফ্রান্সের পর তারাই তৃতীয় দেশ, যাদের সর্বোচ্চ রেটিং কেড়ে নিল বিশ্বের প্রথম সারির কোনও মূল্যায়ন সংস্থা।
শীর্ষ মূল্যায়ন হাতছাড়া হতেই ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন। বিরোধী লেবার দল মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে কোনও মূল্যে রেটিং রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটে জিতে এসেছেন অসবর্ন। ব্রিটেনের উপর লগ্নিকারীদের আস্থা যাতে চিড় না খায়, সে জন্য ঘাটতিতে রাশ টানতে কড়া ব্যয় সঙ্কোচের পথে হেঁটেছেন। যার জেরে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। একই ভাবে কমাতে চেয়েছেন দেনার বোঝাও। তাই এখন স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, তা হলে আখেরে কী লাভ হল ওই আর্থিক নীতি আঁকড়ে থেকে? এমনকী তাঁদের অভিযোগ, অতিরিক্ত সরকারি ব্যয় সঙ্কোচই ব্রিটিশ অর্থনীতির আকাশ থেকে মন্দার মেঘ না কাটার অন্যতম কারণ। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে অসবর্নের নিজের দলের অন্দরেও।
অর্থমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, নিশ্চিত ভাবেই এটি সতর্কবার্তা। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে পালাবেন না তাঁরা। বদলাবেন না আর্থিক নীতিও। তাঁর বিশ্বাস, তাতেই হাল ফিরবে ব্রিটিশ অর্থনীতির।
উল্লেখ্য, কোনও দেশকে ঋণ দেওয়া কতটা ঝুঁকির, তারই মূল্যায়ন ক্রেডিট রেটিং। তা যত ভাল, তাকে ঋণ দেওয়া তত কম ঝুঁকির। আর কমার মানে ঋণ ফেরত না-পাওয়ার ঝুঁকি বাড়া। |