এক্তিয়ার না-থাকা সত্ত্বেও ধর্মঘটের প্রথম দিন সরকারি কর্মীদের হাজিরা খাতায় ‘অনুপস্থিত’ লিখে চাপের মুখে এক তৃণমূল নেতা ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানালেন রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। শুক্রবার মন্ত্রী জানান, ওই তৃণমূল নেতার নাম সুনীল কুমার ভৌমিক। তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন। গত বুধবার সুনীলবাবু সমাজকল্যাণ দফতরের অধীন রায়গঞ্জের সূর্যোদয় মূক ও বধির আবাসিক হোম ও বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় হোমের তিন শিক্ষক সহ ৭ কর্মীর নামের পাশে লাল কালি দিয়ে অনুপস্থিত লিখে দেন। ওই ঘটনার পরে হোমের শিক্ষক ও কর্মীরা বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়ে জানতে চান সুনীলবাবুর সরকারি কর্মীদের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে দেওয়ার এক্তিয়ার অধিকার রয়েছে কি না? হোমের অধ্যক্ষ লিখিতভাবে জেলাশাসক, রাজ্য সমাজকল্যাণ দফতরের সচিব, অধিকর্তা ও বিভাগীয় মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানান। শুক্রবার সরকারি কর্মীদের সংগঠন কো অর্ডিনেশন কমিটির তরফে সুনীলবাবুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে হোমের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানো হয়।
পরে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এর পরেই নানা মহলের চাপে পড়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে সুনীলবাবু রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে ফোন করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন। মন্ত্রী বলেন, “শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন হিসেবে সুনীলবাবুর হোমের ভাল-মন্দ দেখার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে তিনি হোমের হাজিরা খাতায় কোনও কর্মীকে অনুপস্থিত লিখে দিতে পারেন না। সুনীলবাবু ফোন করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন ভবিষ্যতে আর এরকম ঘটনা ঘটবে না।” সুনীলবাবু বলেন, “মন্ত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে। হোমের স্বার্থে এ সব বিতর্কের অবসান হোক।” জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া জানান, সুনীলবাবু সরকারি প্রতিনিধি হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এক্তিয়ার জেলা প্রশাসনের নেই। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারকে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার রাজ্য সরকারই নেবে।” |