পুরসভার নিজস্ব টার্মিনাস থাকলেও সেখানে দাঁড়ায় না ট্রাক ও ছোট গাড়ি। শহরের ফুটপাত দখল করে ইচ্ছে মতো স্ট্যান্ড তৈরি করে নিয়েছেন গাড়ি ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া চলছে। ওই ঘটনার ফলে শহরে যানজটের সমস্যা লেগে থাকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরকর্তাদের সামনে দিনের পর দিন ওই পরিস্থিতি চললেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইলাল অগ্রবাল। যদিও তিনি বলেন, “ওই সমস্যা একা পুরসভার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। পুলিশের সাহায্য প্রয়োজন। বিষয়টি পুলিশ কর্তাদের জানানো হয়েছে।” ইসলামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুবিমল পাল বলেন, “শহরের রাস্তায় গজিয়ে ওঠা বেআইনি স্ট্যান্ডগুলি তুলে দেওয়ার বিষয়ে পুরকর্তাদের সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে বৈঠক করা হবে। এর পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যদিও শহরের বাসিন্দারা পুরকর্তা ও পুলিশকর্তার বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, শহরের উপরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের ফুটপাত দখল করে গাড়ির স্ট্যান্ড দীর্ঘদিন থেকে চলছে। পুরসভা কর্তাদের কয়েকবার বলেও লাভ হয়নি। পুলিশ কর্তারা শুধু ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। তাই কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস হয় না। পরিস্থিতি ক্রমশ এতটাই খারাপ হয়েছে যে জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হয় না। এক দিকে বেআইনি পার্কিং। তার উপরে বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা স্ট্যান্ডের জন্য এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, শহরের তিস্তা মোড় সংলগ্ন এলাকায় পুরসভার ট্রাক ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড রয়েছে। অথচ ট্রাকগুলি পুরাতনপল্লি এলাকায় দাঁড়াচ্ছে। এমনকী শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ধারেও ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে। সেখানে বিহার যাওয়ার অটো দাঁড়াচ্ছে। চৌরঙ্গি মোড় গজিয়েছে অটো স্ট্যান্ড।
বাসিন্দারা মনে করেন বেআইনি স্ট্যান্ডগুলি তুলে দেওয়া হলে যানজটের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। ফুটপাতের সমস্যাও থাকবে না। শহরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক জীবেশ ঘোষ বলেন, “বেআইনি পার্কিং ও স্ট্যান্ডের জন্য প্রতি মূহূর্তে সমস্যায় পড়তে হয়। হঠাৎ সামনে গাড়ি চলে আসলে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়।” |