বুথে বুথে পৌঁছচ্ছেন ভোটকর্মীরা। শুক্রবার মালদহে মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
আজ, শনিবার ইংরেজবাজার বিধানসভার উপ-নিবার্চন। শুক্রবার শেষবেলায় যুযুধান কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম তিন দলের মধ্যে চাপানউতোর চলছেই। তিন দলের প্রার্থী এদিন দাবি করেছেন তিনি জিতছেন। কংগ্রেস প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, “কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে মন্ত্রিত্বের লোভে উনি তৃণমূলে ঢুকেছেন। এ বার ভোটারেরা বিশ্বাসঘাতককে জবাব দিতে কংগ্রেস, বরকতদাকে ভোট দেবেন।” জেতার বিষয়ে নিশ্চিত তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু।
তিনি বলেন, “২০১১ সালে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলাম। এবার উপনিবার্চনে তার বেশি ভোটে জিতব। প্রচারে বার হয়ে ইংরেজবাজারের যে ভাবে সাড়া পেয়েছি, তাতে আমি নিশ্চিত এ বারেও আমিই জিতছি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফল জেলায় কংগ্রেসে ধস নামবে।” আর পুরানো দুই জোট সঙ্গীর ‘দূরত্বে’র জেরে তিনি জিতবেন বলে মনে করছেন সিপিএম প্রার্থী কৌশিক মিশ্র। তাঁর কথায়, “ভোটে জেতার ব্যাপারে প্রথম থেকেই আমি নিশ্চিত ছিলাম। প্রচারের শেষবেলায় এসে মানুষের যে সাড়া পেয়েছি, তার জেরে বলছি আমিই জিতব।” |
প্রশানিক সূত্রের খবর, এ দিন মালদহ পলিটেকনিক কলেজ থেকে ভোট কর্মীরা ইভিএম নিয়ে ইংরেজবাজার বিধানসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছেন। প্রতিটি বুথে গিয়েছে আধা সামারিক বাহিনী। ইভিএম বিলির সময় সকালে মালদহ পলিটেকনিক কলেজে সামান্য বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। খাবার ও পানীয় জলের অপ্রতুল ব্যবস্থায় ভোটকর্মী থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পর্যবেক্ষকেরা এসে তাঁদের ক্ষোভ সামাল দেন। মালদহ শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইভিএম বিলি ও গণনা কেন্দ্র করায় রাজনৈতিক দলগুলিও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, মালদহে বড় বড় স্কুল, কলেজ থাকা সত্বেও প্রশাসন শহর থেকে দূরে পলিটেকনিক কলেজে কেন্দ্র তৈরি করেছে। উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পুস্পেন্দু মিত্র বলেন, “ইভিএম বিলি এবং গণনা কেন্দ্রের জন্য মালদহ কলেজ ও পলিটেকনিক কলেজ দেখা হয়েছিল। মালদহ কলেজ এলাকা প্রচন্ড জনবহুল এলাকা হওয়ার কারণে পলিটেকনিক কলেজকে বাছাই করা হয়েছে। খাবারের হোটেল বসানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা বসায় কিছু সমস্যা হয়েছে।” |