শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশের একটি বিশেষ দল নিউ সিনেমা রোড লাগোয়া শুল্ক দফতরের গুদামঘরে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। অফিসারদের দাবি, পুরো গুদাম শুল্ক দফতরের বাজেয়াপ্ত জিনিসপত্রে ভর্তি। বাকি জায়গায় কাশির সিরাপের প্রায় এক লক্ষ বোতল ভর্তি ১৮০০ কার্টুন রাখার দাবি করা হচ্ছে, তাতে এক হাজার কার্টুনের বেশি রাখা সম্ভব নয়। সেখানে সেগুলি কী ভাবে ছিল বা কী ভাবে চুরি হল তা দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য শুল্ক দফতরের কর্তারা কিছু বলতে চাইছেন না। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এক বছরে ওই গুদাম ঘরে চারবার চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ করে শুল্ক দফতর। প্রতি ক্ষেত্রেই বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্রের হিসাব মেলাতে গিয়ে চুরির বিষয়টি জানতে পেরেছেন অফিসাররা। এর আগে ওই গুদাম থেকে গাঁজা, এলইডি, ঢাকাই জামদানি শাড়ি এবং প্রচুর পরিমাণ কাশির সিরাপ চুরি হয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, গুদাম ঘরের দরজার তালার সিল, জানালা-সহ সমস্ত দিক অক্ষত রয়েছে। এই অবস্থায় কোনওভাবেই দুষ্কৃতীদের ভিতরে ঢুকে চুরি করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া যে পরিমাণ কাশির সিরাপ চুরির অভিযোগ করা হয়েছে তা দুটি ট্রাক থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই পরিমাণ কাশির সিরাপ বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কমপক্ষে দু’টি ট্রাকের প্রয়োজন।
অন্তত ১০ জন শ্রমিক আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করলে ওই পরিমাণ কার্টুন ট্রাকে লোড করা সম্ভব। এই সময় ধরে কাজ করলে তা নিরাপত্তা রক্ষী শুধু নয়, আশেপাশের বাসিন্দাদেরও চোখে পড়ার কথা। তাহলে কী ভাবে চুরি হল তা নিয়ে সংশয়ে পুলিশ অফিসারেরাই। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার গাঁজা, কাশির সিরাপ চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ হয়েছে। সাধারণ কোনও ব্যবসায়ীর পক্ষে ওই পরিমাণ জিনিসপত্র কেনা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তা চোরা কারবারীদের কাছেই বিক্রি করতে হবে। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, “ওই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও শুল্ক দফতরের কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।” |