প্রাথমিক স্কুলের পরিত্যক্ত ঘর এবং অফিসে এবার পরীক্ষা দিতে হবে মালবাজার মহকুমার কিছু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। ক্রান্তি দেবীঝোরা উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীর আসন ফেলে দেওয়ায় ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উচ্চ বিদ্যালয় লাগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর নেওয়া হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক আধিকারিক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, “কিছু ভুলের জন্য ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেটা সমাধানের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সম্ভব হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।”
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। দেবীঝোরা উচ্চ বিদ্যালয়ে খুব বেশি হলে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী বসে পরীক্ষা দিতে পারে। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৯৫২ জন পরীক্ষার্থীর আসন দেবীঝোরার জন্য চূড়ান্ত করে। ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফি বছর রাজাডাঙা পেন্দা মহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা ওই স্কুলে পরীক্ষা দিত। এ বার রাজাডাঙার ৫৭২ জন পরীক্ষার্থী ছাড়াও চেংমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৮০ জন পরীক্ষার্থীর আসন দেবীঝোরায় দেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর জন্য বিদ্যালয়ের তরফে কয়েকবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে মালবাজার মহকুমা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে থাকা দেবীঝোরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রাথমিক স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরেও বসে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়। একটি হল ঘরে ১৩০ জন পরীক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ জন্য কয়েকটি স্কুল থেকে বেঞ্চ তুলে আনা হয়েছে। দেবীঝোরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকসুদ আলম বলেন “এত পরীক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা কেমন করে হবে সেটা ভেবে রাতে ঘুমোতে পারছি না। কতবার পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হল না।” মালবাজারের মহকুমাশাসক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, “শেষ মুহুর্তে পরীক্ষা কেন্দ্র পাল্টানো সম্ভব হয়নি। আগামী বছর যেন এ ভাবে পরীক্ষার্থীর আসন ওই স্কুলে না দেওয়া হয় সেটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানানো হয়েছে।” |