নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে চুলের মুঠি ধরে ট্রাক্টরে তুলে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ডুয়ার্সের কালচিনিতে। ট্রাক্টরে তোলা হয়েছিল আরও এক কিশোরীকে। সে অবশ্য কোনওমতে লাফিয়ে পালায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হ্যামিল্টনগঞ্জের চা বাগান এলাকার এই ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিতা কিশোরীকে একটি ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে আলিপুরদুয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিক্কু কামী, ভিকি বিশ্বকর্মা ও রাজীব কেরকেট্টা। সকলেই এলাকার বাসিন্দা। প্রথম দু’জন ট্রাক্টর চালক। তৃতীয় জন সহকারী। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ধৃত কিশোরীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সে খুবই আতঙ্কে রয়েছে। তার কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মারধর, অপহরণ ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।”
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, চা বাগানের নির্জন এলাকায় দুই বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিল স্থানীয় বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রী। আচমকা ট্রাক্টর নিয়ে ওই ৩ জন সেখানে হাজির হয়। ছাত্রীদের দুই বন্ধুকে মারধর করে তারা তাড়িয়ে দেয়। দুই ছাত্রীকে ট্রাক্টরে তুলে নেয়। এক ছাত্রী তখন লাফিয়ে নেমে চা বাগানের ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। রাত ৯টা নাগাদ সেই ছাত্রী কালচিনি থানায় গিয়ে সব জানালে পুলিশ তল্লাশিতে নামে। ট্রাক্টরটি আটক করে। তার মালিককে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, বিক্কু ও ভিকি ওই ট্রাক্টর নিয়ে বেরিয়েছিল। ভিকিকে ধরে ফেলে পুলিশ। তাকে জেরা করে একটি নির্মীয়মান সেতু থেকে ধরা হয় রাজীবকে। ভোরে এলাকার একটি বাড়ি থেকে বিক্কুকেও গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকেই নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। যে দুই বন্ধুর সঙ্গে ওই দুই কিশোরী সেই সন্ধ্যায় গল্প করছিল, তাঁরাও এলাকার বাসিন্দা। একজন কলকাতায় কলেজে প্রথম বর্ষে পড়েন। অন্য জন স্থানীয় স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। কংগ্রেস এবং আরএসপি এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছে। |