অস্থায়ী ভবনে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু করতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলার বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির সম্মতি মিলেছে বলে বিভিন্ন মহলে খবর চাউর হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও সরকারি নথি এখনও আসেনি। শুক্রবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “এখনও রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি ভাবে এমন কোনও চিঠি কিংবা তথ্য আসেনি। তাই এই নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে রাজ্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে। যে কোনও সময়েই সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যে উপনির্বাচনের কারণে বিধিনিষেধ বলবত রয়েছে। তাই এখন এর চাইতে বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না।”
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা হাইকোর্টের তদানিন্তন বিচারপতিও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শিলান্যাস অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই জলপাইগুড়িতে অস্থায়ী ভবনে আপাতত বেঞ্চের কাজ শুরুর জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী. শিলান্যাসের আগেই রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ করা হয়।
সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পরে সার্কিট বেঞ্চ চালু করতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সার্কিট বেঞ্চের ঘোষণা পত্রে রাষ্ট্রপতি সই করলেই সংশ্লিষ্ট শহরে বেঞ্চের কাজ শুরু করা যায়।
বিভিন্ন সূত্রে রাষ্ট্রপতির সম্মতির বিষয়টি চাউর হওয়ায় ফের বেঞ্চের উদ্বোধন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। সার্কিট বেঞ্চ দাবি আদায় সমন্বয় কমিটির সম্পাদক কমলকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমরাও বিষয়টি শুনেছি। খুবই সদর্থক খবর। মাননীয় বিচারপতিরা বেঞ্চে এসে বিচার করছেন, সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা আদালতে আসছেন, এই দৃশ্যই এখন জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গবাসী দেখতে চান।” জলপাইগুড়ি বার আসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরীও এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ শুক্রবার জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি হচ্ছে।. যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই জলপাইগুড়িবাসীর আবেগ নিয়ে রাজনীতি করেছে। রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তি জারি করার কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। ফের জলপাইগুড়িবাসীকে আন্দোলনে নেমে বেঞ্চ আদায় করতে হবে।” কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।” |