|
|
|
|
ঝাড়খণ্ড আন্দোলন সমন্বয় মঞ্চ |
জঙ্গলমহলে স্বশাসনের দাবি, প্রার্থী পঞ্চায়েতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াএই তিন জেলার জঙ্গলমহলের স্বশাসনের দাবিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আন্দোলনে নামছে ‘ঝাড়খণ্ড আন্দোলন সমন্বয় মঞ্চ’। পিসিসি-সিপিআই (এম এল), ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-সহ ৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ওই মঞ্চের উদ্যোগে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন হলে এক কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। ওই কনভেনশনে মঞ্চের নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দেন, পাহাড়ের ধাঁচে জঙ্গলমহলের স্বশাসনের দাবিতে তিন জেলার ৩০টি ব্লকে প্রচার শুরু করা হচ্ছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই ৩০টি ব্লকে মঞ্চের তরফে প্রার্থী দেওয়া হবে। |
|
ঝাড়খণ্ড আন্দোলন সমন্বয় মঞ্চের সভা।—নিজস্ব চিত্র |
তৃণমূলের সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের জুন মাসে মঞ্চের পক্ষ থেকে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্বশাসনের দাবিপত্র পাঠানো হয়। ওই দাবিপত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল, জঙ্গলমহলে স্বশাসিত পর্ষদ গঠন না-করলে কখনওই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভূমিপুত্রদের নিয়ে নির্বাচিত স্বশাসিত পর্ষদের মাধ্যমে জঙ্গলমহলের উন্নয়ন ও যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন মঞ্চের নেতৃত্ব। কিন্তু দেড় বছর কেটে গেলেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে এ বার স্বশাসনের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘ঝাড়খণ্ড আন্দোলন সমন্বয় মঞ্চ’। পাশাপাশি, শাসক-দলকে চাপে রাখতে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও দিচ্ছে তারা।
মঞ্চের নেতা সন্তোষ রানা, আদিত্য কিস্কু, অসিত খাটুয়া, স্বপন মাহাতোদের বক্তব্য, “জঙ্গলমহলে উন্নয়নের প্রচার হচ্ছে। কিন্তু কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্বশাসন ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।” তাঁদের অভিযোগ, “জঙ্গলমহলে আগে ছিল মাওবাদীদের সন্ত্রাস। এখন সেই পুরনো মুখগুলিই শাসক দলের জার্সি পরে সন্ত্রাস কায়েম রেখেছে। পুলিশ-প্রশাসন নির্লজ্জ ভাবে শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। নানা ভাবে বিরোধীদের দমন পীড়ন করা হচ্ছে। বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|