কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নৈহাটির দোগাছিয়া দাসপাড়ায় একটি কীর্তনের আসরে বোনকে সঙ্গে নিয়ে খিচুড়ি খেতে গিয়েছিল দোগাছিয়া হাইস্কুলের ওই ছাত্রী। কীর্তন চলাকালীন মঞ্চের পিছনে অন্ধকার জায়গায় শৌচকর্ম করতে গেলে স্থানীয় যুবক ববন ঘোষ তাকে জাপটে ধরে কাছে ঝোপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কীর্তনের আসরে মাইকের আওয়াজে ওই কিশোরীর চিৎকার শোনা না গেলেও বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ায় সন্দেহ হয় তার ছোট বোনের। পাড়ার সমবয়সীরাও ছিল ওই কীর্তনের আসরে। তাদের নিয়ে দিদির খোঁজ করতে সে মঞ্চের পিছনে যায়। ববনকে দিদির শ্লীলতাহানি করতে দেখে সবাই মিলে চেঁচামেচি করলে ববন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দাদের একাংশ। এমনকী তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগকারিণীর পরিবারের লোকজন শুক্রবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুলিশ অবশ্য শুক্রবার সকালেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে শিশু সুরক্ষার বিশেষ আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুরের এডিসি শুভঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও হয়েছে।’’
|
অপহরণের পর জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলে ও সদ্যবিবাহিত বধূকে আটক করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত সোমবার বসিরহাটের ইছামতী নদীর ধারে তপারচর গ্রামে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখা যায় দু’জোড়া কিশোর-কিশোরীকে। স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর একটা জুটি বাড়ি ফিরে গেলেও অন্য জুটি থেকে যায় তপারচর গ্রামে। এ দিকে ছেলে বাড়ি ফিরছে না দেখে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হন দুলাল দাস। তদন্তে নেমে শুক্রবার বসিরহাট থানার পুলিশ দুলালবাবুর ছেলে রানা ও মেয়েটিকে আটক করে। বসিরহাট থানার আইসি শুভাশিষ বণিক বলেন, “আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। দুই পরিবারের কাছে নব দম্পতির বয়সের প্রমাণপত্র চাওয়া হয়েছে। সাবালকত্বের প্রমাণপত্র না পেলে দু’জনকেই আদালতে পাঠানো হবে।
|
পিছনের দরজা ভেঙে নগদ লক্ষাধিক টাকা লুঠ হল মোটর সাইকেলের একটি শোরুমে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার কাছে। শোরুমটির মালিক উত্তম সমাদ্দার জানান, পিছনের দরজা ভেঙে ঢুকে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালায়। তবে তারা অন্য জিনিসপত্র নিতে পারেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও কেউ ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
এক দুষ্কৃতীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির পুঁটিমারি গ্রামে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুরথ দাস। বাড়ি নৈহাটির কাঁচরাপাড়ায়। |