|
|
|
|
হস্টেল তৈরির কাজ ঢিমেতালে, জমি-জট মেটাতে বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বিশেষ প্রকল্পে হস্টেল তৈরির কাজ চলছে খুবই ঢিমেতালে। তার উপর জমি-জটের জেরে আটকে পড়ছিল একাধিক স্কুলের হস্টেল তৈরির কাজ। জমি জট কাটাতে শুক্রবার জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করল জেলা প্রশাসন। বৈঠক শেষে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ জমির মালিকানা পরিবর্তন করেননি। আবার কিছু ক্ষেত্রে সরকারি জমি স্কুলের দখলে থাকলেও, তার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি লিজ চেয়ে আবেদন জানাননি। ফলে একটা সমস্যা ছিল। শীঘ্রই তা মিটে যাবে।”
রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পরেই নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে এসে একাধিক প্রতিশ্রুতির মধ্যে হস্টেল তৈরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। প্রথম দফায় ১৭টি ও দ্বিতীয় দফায় ৫০টি হস্টেল নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু, এখনও বেশিরভাগ হস্টেলের কাজই শেষ হয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফার ১৭টি হস্টেলের মধ্যে ৮টি-র কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলি শেষের পথে। দ্বিতীয় ধাপের ৫০টির মধ্যে সম্প্রতি ২৬টি স্কুলে হস্টেলের কাজ শুরু হয়েছে। ২৪টি হস্টেলের কাজ এখনও শুরু হয়নি! অথচ, টাকা নেই এমন নয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপের ১৭টির ক্ষেত্রে ৭৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ হলেও দ্বিতীয় ধাপে তা বাড়িয়ে ৯৮ লক্ষ টাকা করেছে সরকার। টাকা নিয়েও কোনও সমস্যা নেই। মূলত, প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণেই কাজ শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ।
তবে ১৬টি স্কুলের ক্ষেত্রে জমি নিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে কিছু স্কুলকে স্থানীয় কেউ জমি দান করেছিলেন, কোনও স্কুল নিজেই জমি কিনেছিলকিন্তু নাম পরিবর্তন করা হয়নি। স্কুলগুলিকে আগেই নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জানিয়েছে, সেই নাম পরিবর্তনের কাজ প্রায় শেষ। ফলে ওই সব ক্ষেত্রে কাজ শুরু করার কোনও সমস্যাই নেই। দু’টি স্কুলের ক্ষেত্রে শুধু সরকারি জমি রয়েছে। তার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি লিজ চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানাতে হবে। আবেদন জানালেই দ্রুত তা মঞ্জুর করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রশাসন উদ্যোগী হবে। এ ক্ষেত্রে আরও একটি প্রশ্ন উঠছে, সমস্ত নথি খতিয়ে না দেখে কেন জমি নিয়ে সমস্যা থাকা স্কুলগুলিকে তালিকায় ঢোকানো হল? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক আগে থেকে যে সমস্ত স্কুল হস্টেলের জন্য আবেদন জানিয়ে রেখেছিল তার একটি তালিকা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে তড়িঘড়ি সেই তালিকা ধরেই হস্টেল মঞ্জুর করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই সমস্যা। |
|
|
|
|
|